কলারোয়া বেত্রবতী হাইস্কুলে পিঠা উৎসব
কামরুল হাসান: শীতকালীন বাহারি পিঠার মধুর ঘ্রাণে মুখরিত হলো কলারোয়া বেত্রবতী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব। বিদ্যালয়ে ৫টি(ষষ্ঠ-দশম)শ্রেণির আয়োজনে প্রথমবারের মতো এ পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হারুন অর রশিদ মোল্লা ও উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার তাপস কুমার দাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠান প্রধান সাংবাদিক রাশেদুল হাসান কামরুল, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, যুগ্ম আহবায়ক এম এ সাজেদ, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, সানবিম করিম সিয়াম, তাফিমুল ইসলাম, ইমন,সহকারী শিক্ষক আব্দুদ দাইয়ান, আবুবকর ছিদ্দীক, মশিউর রহমান, নাছরিন সুলতানা, তজিবুর রহমান, সাইফুল আলম, সমীর কুমার সরকার, জাকিয়া পারভীন, রীনা রানী পাল, মহিরুল ইসলাম, আতাউর রহমান, অফিস সহায়ক ফারুক হোসেন, এরশাদ আলী প্রমুখ। দেশীয় সংগীতের মূর্ছনার সঙ্গে বর্ণিল আবহে আয়োজিত এ পিঠা উৎসব উৎসবমুখরতা ছড়িয়ে দেয় সবখানে। উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বাহারি ও সুস্বাদু বিভিন্ন পিঠার স্টল ঘুরে দেখেন। গ্রামবাংলার লোকজ ঐতিহ্য তুলে ধরার এই প্রয়াসকে দেশপ্রেম হিসেবে উল্লেখ করে অতিথিবৃন্দ বলেন, কালের বিবর্তনে শীতের পিঠা-পুলির ঐতিহ্য বিলুপ্তির পথে। নানা ধরনের পিঠাপুলির সাথে এ প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে। আধুনিক জীবনধারার বিপরীতে গ্রামীণ পিঠা উৎসবের আয়োজন আমাদের মাটি ও মানুষের কাছে নিয়ে যায়। জাতি হিসেবে তুলে ধরা যায় আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে। নতুন প্রজন্মের তরুণরা এ জাতীয় লোকজ উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হবে নিঃসন্দেহে। আয়োজনের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের মাঝে গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য তুলে ধরতে এবারই প্রথম এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হলো। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ৫টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৬০ পদের অধিক শীতকালীন পিঠা শোভা পায়। পিঠার স্টলগুলোর নামকরণও বেশ নজরকাড়া। যেমন: “পিঠা খাবি কিনে খা”, ” পিঠা ভূবন” “গো গ্রাসে পিঠা খাবো”, “সেভেন স্টার পিঠা”, “শীতকালের রসালো পিঠা”। এসব পিঠা স্টলে গোলাপ পিঠা, পুলি পিঠা, রসের পিঠা, দুধ পুলি, পাটিসাপটা, নকশি পিঠা, হৃদয় হরণ পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, জামাই পিঠা, গোকুল পিঠা, নারকেল পিঠা, ঝিনুক পিঠা, আতা পিঠাসহ হরেক রকমের পিঠার পসরা বসে। নানা পদের ও স্বাদের বাহারি পিঠার স্টলে উপচে পড়া ভিড় এবং দর্শনার্থীদের আগ্রহ এক ভিন্ন মাত্রা পায়। সবমিলিয়ে প্রথমবারের মতো শীতকালীন এ পিঠা উৎসবে বিদ্যালয় আঙিনা শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও অভ্যাগতদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে।