পিঠাপুলির মধুর ঘ্রাণে মুখরিত শেখ আমানুল্লাহ কলেজ প্রাঙ্গণ
কামরুল হাসান:” গ্রামবাংলার শীতের আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। আর দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান গ্রামীণ সংস্কৃতির পিঠাপুলি। শীত এলেই পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। সেই পিঠাপুলির মধুর ঘ্রাণেই মুখরিত হলো কলারোয়া শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) এ কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হলো দিনব্যাপী পিঠা উৎসব। কলারোয়া শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করলো। পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জহুরুল ইসলাম। লোকসংগীতের মূর্ছনার সঙ্গে বর্ণিল আবহে আয়োজিত দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম। পিঠা উৎসবের আয়োজনের ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য তুলে ধরতে এবারই প্রথম পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হলো। কলেজ অধ্যক্ষ আরও বলেন, কালের বিবর্তনে শীতের পিঠা-পুলির ঐতিহ্য বিলুপ্তির পথে। নানা ধরনের পিঠাপুলির সাথে এ প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়াই এই পিঠা উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বাহারি ও সুস্বাদু পিঠার স্টল ঘুরে দেখেন। কলেজে অধ্যয়নরত বিভিন্ন শ্রেণি ও বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ১১টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৪৫ পদের শীতকালীন পিঠা শোভা পায়। পিঠা স্টলে পুলি পিঠা, দুধ পুলি, পাটিসাপটা, নকশি পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, জামাই পিঠা, গোকুল পিঠা, নারকেল পিঠা, রসের পিঠাসহ হরেক রকমের পিঠা শোভা পায়। কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল খায়ের, ইউনুস আলী খান, গোবিন্দ চন্দ্র ঘোষ, আনেয়ারুল ইসলাম, শাহাদাৎ হোসেন,রফিকুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, গোলাম মোস্তফা, মোফলেহুর রহমাস, এএইচএম কামরুজ্জামান পলাশ, আশরাফুল ইসলাম নূরানী, প্রভাষক শেফালী রানি বসু, নিগার সুলতানা, আব্দুল লতিফ, আবু তৈয়বসহ কলেজের সম্মানিত শিক্ষক- কর্মচারীবৃন্দ সার্বক্ষণিক এ উৎসব আয়োজনে ভূমিকা রাখেন। দিনভর নানা পদের ও স্বাদের বাহারি পিঠার স্টলে উপচে পড়া ভিড় এবং দর্শনার্থীদের আগ্রহ এক ভিন্ন মাত্রা পায়। সবমিলিয়ে পিঠা উৎসব এক প্রাণের মেলায় রূপ নেয়।