তালায় সবজির বাজারে ধস লোকসানে প্রান্তিক কৃষক
ফারুক সাগর : তালা উপজেলায় সবজির বাজারে ধস নেমেছে। ফলে লোকসানে প্রান্তিক কৃষক। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই অঞ্চলের কৃষি খাত।
সরেজমিনে দেখা গেছে,উপজেলার খলিশখালী,মাগুরা,জালালপুর,তালা সদর,তেঁতুলিয়া,সরুলিয়া,খেশরা,নগরঘাটা,ধানদিয়া,খলিলনগর ইউনিয়ন সহ অন্যান্য সকল ইউনিয়নের কৃষি জমির ফসল অতি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তেঁতুলিয়া,খেশরা ইউনিয়নের বেশির ভাগ জমি এখনও পানিতে তলিয়ে আসে। চলতি মৌসুমে বোরো চাষাবাদ হুমকির মুখে। অন্যদিকে তালা সদর,খলিলনগর ইউনিয়নের মাঠে প্রথম ধাপে লাগানো সবজির ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দ্বিতীয় ধাপের সবজি বাজারে তুলতে দেরি হয়। এজন্য সবজির দাম না পাওয়ায় আর্থিকভাবে লোকসানে প্রান্তিক কৃষক।খলিলনগর ইউনিয়নের মহন্দী গ্রামের কৃষক রবানী খাঁ,ছাত্তার শেখ জানান,পাঁচ হাজার ফুলকপি ছিল। গত হাটে ১০ মণ তুলে ছিলাম। ৭ মণ বিক্রি হয় ১ টাকা কেজি দরে। বাকি সবজি অবিক্রীত অবস্থায় ফেলে আসি। একই অবস্থা টমেটো,ওলকফি,আলুর ক্ষেত্রে। যে খরচ হয়েছে তার দশ ভাগের এক ভাগ দাম পাচ্ছি।
সরুলিয়া ইউনিয়নের পাটকেলঘাটা গ্রামের কৃষক মেহেদী হাসান মিঠু জানান,তার সাত হাজার ফুলকপি ছিল। একবার বাজারে তুলে ছিলাম। চার শত টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। সবটাই লোকসানে। নতুন কোন সবজি লাগানোর মত আর্থিক সামর্থ্য নেই।
স্থানীয় সবজি বিক্রেতা শফি গল্দার জানান,ফুলকপি- ৫ টাকা,আলু-৩০,টমেটো-৩০,পাতাকফি -১২ টাকা (প্রতি বিচ),পেঁয়াজ-৫০ টাকা যা গত সপ্তাহে ফুলকফি-১০ টাকা,টমেটো-৬০ টাকা,আলু-৫০ টাকা,পাতাকফি-২০ টাকা(প্রতি পিচ),পেঁয়াজ-৮০ থেকে ১০০ বিক্রি হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান,চলতি শীতকালীন মৌসুমে ২ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষবাদ করা হয়েছে। এই বাড়তি সবজি উৎপাদন কারণ কি এমন এক প্রশ্নের জবাবে জানান এ অঞ্চলের কৃষকরা আগাম সবজি চাষবাদ করে থাকেন। কিন্তু অতি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় আগাম সবজি চাষবাদ করতে পারেনি। এজন্য পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে এক সাথে সবজি তোলায় লোকসানে প্রান্তিক কৃষক।