জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার প্রধান উপদেষ্টাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত
আন্তজার্তিক ডেস্ক:সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে শুরু চলছে পাঁচ দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন। বিশ্বনেতাদের গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) তিনি মূল সম্মেলনের ফাঁকে কয়েকটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।প্রেস উইংয়ের বৈঠকে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআই-এর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে কথা বলেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সংকটের সমাধাণের জন্য, বিশেষ করে চলতি বছরের শেষের দিকে এ বিষয়ে একটি বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজনে গ্রান্ডির সমর্থন চান তিনি।ফিলিপ্পো গ্রান্ডিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’জবাবে ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, ‘আমরা আপনাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।বাংলাদেশে বর্তমানে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে। এর মধ্যে ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে ২০১৭ সালের পর মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অব্যাহত গণহত্যার জেরে। সম্প্রতি রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের জেরে আরও প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে।ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এত বিপুল রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। তারা আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে।’ এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকটের ওপর বিশ্বব্যাপী মনোযোগ ফিরিয়ে আনার আহ্বানও জানান।সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল নির্মাণের জন্য উন্নত উপকরণ ব্যবহার করার অনুমতি দেয়ার জন্য গ্র্যান্ডি প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। পূর্বে রোহিঙ্গাদের কেবল বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে ঘর তৈরি করার অনুমতি ছিল। বৈঠকে তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। সেখানে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সঙ্গে বৈঠকের সময়েও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ইউনূস। মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সেফ জোন তৈরিতে জার্মানির সমর্থন প্রত্যাশা করেন।এ ছাড়া একই দিনে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবেরের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।