ডুমুরিয়ার চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত
আব্দুর রশিদ:নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডুমুরিয়ার ঐতিয্যবাহী চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো তারুণ্যের উৎসব -২০২৫। তারুণ্যের উৎসবের মধ্যোছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গান,নৃত্য্য ও পিঠা উৎসব। এসো দেশ বদলাই,পৃথিবী বদলাই এ স্লোগানকে সামনে নিয়ে এবং গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে স্মরণ করতেই শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মিলে দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে। রবিবার সকাল ১১টায় তারুণ্যের উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনতি কুণ্ডু। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক অপর্ণা কর্মকর,শামিমা শিরিন মিলু,রেহেনা সুলতানা,মোঃ আজিজুর রহমান,জয়দেব কুমার নন্দী,মোঃ হাফিজুর রহমান, অজয় কুমার ব্রক্ষ্ম,শিরানা ইসলাম,নন্দিতা সিকদার,অফিস সহকারী মোঃ রবিউল ইসলাম ও সাংবাদিক শেখ এনামুল বাসার টিটো। এসময়ে বিদ্যালয়ের আঙিনায় ১২টি স্টল সাজানো হয়েছে নানা রকমের পিঠা দিয়ে। পিঠা উৎসবের ষ্টল ঘুরে দেখা যায়, চমচম পিঠা, দুধে ভিজানো নকশি পিঠা,পুলি ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা,দুধ খেজুর পিঠা, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, ইলিশ পিঠা, জামদানি পিঠা, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, ঝুড়ি পিঠা সহ নানা স্বাদের পিঠা। পিটা উৎসবের ষ্টল ঘুরে দেখার সময় ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহানা বাসার দিয়া জানায়, ‘বাহারি রকমের এতো পিঠা একসঙ্গে কখনো দেখা হয়নি। পিঠা উৎসবের কারণে এতো রকম পিঠা একসাথে দেখার সৌভাগ্য হলো। পিঠা উৎসবে আমি নিজেও একটি ষ্টল দিয়েছি। নিজে পিঠা বিক্রী করছি এবং অন্য ষ্টল থেকে পিঠা কিনে খাচ্ছি। এতে আমারা খুব আনন্দিত।চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনতি কুণ্ডু বলেন,পিঠার নাম শুনলেই জিভে জল আসে না এমন কোনো বাঙালি নেই। শীতকালে পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের সংস্কৃতিতে পিঠার অবস্থান পিছিয়ে পড়েছিল। বার্গার ও পিজ্জার জোয়ারে হারিয়ে যেতে বসেছিল পিঠা। সেই গ্রাম বাংলার পিঠার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্নরকম পিঠার সাথে পরিচিতি ঘটানোর জন্য আজকের এই পিঠা উৎসবের আয়োজন। বিদ্যালযের শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান বলেন,পিঠা-পুলি আমাদের লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই প্রকাশ। এই দেশজ উৎসব কমে গেছে। আজকের এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাঙালির নানা রকমের পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।