পর্যটন ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ক্যাসিনো বৈধ করছে থাইল্যান্ড
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পর্যটন ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নির্দিষ্ট বিনোদন কমপ্লেক্সে ক্যাসিনো (জুয়া খেলা) বৈধ করার একটি খসড়া বিল অনুমোদন করেছে থাইল্যান্ডের মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) থাইল্যান্ডের মন্ত্রিসভায় এই বিল অনুমোদন করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিলটি আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রথমে রাজ্য পরিষদের অফিসে খসড়া তৈরির জন্য পাঠানো হবে, তারপর সংসদে বিতর্ক ও ভোটের জন্য উত্থাপিত হবে। এই প্রক্রিয়ায় কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
প্রস্তাবিত আইনটি এমন পর্যটন কমপ্লেক্সে ক্যাসিনো স্থাপনের অনুমতি দেবে, যেখানে থিম পার্ক, ওয়াটার পার্ক, হোটেল ও শপিং মল অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বর্তমানে থাইল্যান্ডে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট রাজ্য পরিচালিত ঘোড়দৌঁড় ও লটারির জুয়া বৈধ, তবে অবৈধ জুয়া খেলা ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন শিনাওয়াত্রা সাংবাদিকদের জানান, এর উদ্দেশ্য হলো রাজস্ব বৃদ্ধি, থাইল্যান্ডে বিনিয়োগ উৎসাহিত করা এবং অবৈধ জুয়া সমস্যার সমাধান করা।
কোভিড-১৯ মহামারীর পর থাইল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে দেশটি আরও বেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে চীন ও ভারতীয় পর্যটকদের জন্য ভিসা শর্ত সহজসহ বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছে।
উপ-অর্থমন্ত্রী জুলাপুন অমর্নবিভাত জানান, এই বিনোদন কমপ্লেক্সগুলো পর্যটকের সংখ্যা ৫-১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে এবং ১৫,০০০ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত কমপ্লেক্সগুলোর অবস্থান ও নির্মাণের সময়সূচি এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ থাইল্যান্ডে রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলো জুয়া বৈধ করার প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে আসছে। তবে প্রতিবেশী কম্বোডিয়া, লাওস এবং মিয়ানমারে গোপন ক্যাসিনো কমপ্লেক্স গড়ে উঠেছে।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ অফিস গত বছর এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ক্যাসিনোগুলো ‘সংগঠিত অপরাধের মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের অর্থ পাচারের ব্যাংকিং কাঠামোর ভিত্তি’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।