সদর হাসপাতালে রোগীদের খাদ্যে অনিয়ম এবং অবৈধ ইটভাটা বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় পথসভা
নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি খাস জমিতে ভ‚মিহীনদের পূর্ণবাসন, সদর হাসপাতালে রোগীদের খাদ্যে অনিয়ম, চিকিৎসক সংকটে রোগীদের ভোগান্তি এবং অবৈধ ইটভাটা বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা ভ‚মিহীন সমিতি ও জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিকালে নিউ মার্কেটের সামনে অনুষ্ঠিত পথসভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা ভ‚মিহীন সমিতির সভাপতি মো: কওছার আলী।
সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা এ্যাড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির জেলা সভাপতি আদিত্য মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জেলা ভ‚মিহীন সমিতির সহ-সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান, জেলা ভ‚মিহীন সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রেজাউল করিম রেজা, মানবাধিকার কর্মী কুমারেশ দাশ, সদস্য ভ‚মিহীন নেত্রী রওশানারা খাতুন, খাদিজা খাতুন, বিপ্লব হোসেন রানা, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল্যা বিশ^াস, মানবাধিকার কর্মী হোসেন আলী, শেখ রিয়াজুল ইসলাম, সাংবাদিক মুনসুর রহমান, শ্যামনগরের ভ‚মিহীন নেতা মোকছেদ আলী। বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় শত শত বিঘা খাস জমি রয়েছে। কতিপয় ভ‚মিদস্যু নামধারী ব্যক্তিরা বছরের পর বছর ধরে এসব লুটে পুটে খাচ্ছে। অথচ অসহায় ভ‚মিহীনরা মাথা গোজার ঠাঁই পাচ্ছে না। সাতক্ষীরার ২২লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য ১৯৮০ সালে সাতক্ষীরায় প্রতিষ্ঠিত হয় সদর হাসপাতাল। কিন্তু জেলার গরিব অসহায় মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। হাসপাতালে গিয়ে গরিব অসহায় রোগীরা কোন ঔষধ পায় না। চিকিৎসকরা রোগীদের সাথে ভালো ব্যবহার করে না। এছাড়া ১৭ বছর আগের টেন্ডারেই চলছে সদরের খাদ্য সরবরাহ। তালার নজরুল নামের এক ব্যক্তি সুকৌশলে আদালতে মামলা দায়ের করে রেখেছে। যাতে নতুন কোন টেন্ডার না হয়। খাদ্যের নামে অখাদ্য সরবরাহ করে যাচ্ছে। মাছ মাংসের নামে ছোট ছোট টুকরো দিয়ে দায় এড়াচ্ছেন তিনি। একইভাবে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের টেন্ডার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে আদালতে মামলা দায়ের করেছে দেলোওয়ার হোসেন দুলাল। শুরু থেকেই দুলাল এককভাবে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের টেন্ডার বাণিজ্য করে যাচ্ছে। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
বক্তারা আরো বলেন, কাগজপত্র না থাকার পরও কিভাবে ইটভাটাগুলো সাতক্ষীরায় চলে আমাদের বুঝে আসে না। প্রতি বছর ইটভাটায় নামমাত্র জরিমানা করা হয়। এভাবে জরিমানা করে কোন ভাবেই অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা যাবে না। অবিলম্বে কাগজপত্র বিহীন ভাটাগুলো বন্ধ করা না হলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটবে। সাতক্ষীরার পরিবেশকে রক্ষায় যাদের কাগজ নেই তাদের ইটভাটা দ্রæত বন্ধ করতে হবে।