পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী নিয়াজ

বন্দর প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জ বন্দরের চিহ্নিত আওয়ামী দোসর তথা ৫ আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী নিয়াজউদ্দিনকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁয়ের হেফাজত কর্মী ইকবাল হত্যা এবং ফতুল্লার আরো একটি হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক মামলা থাকার পরও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। নিয়াজকে গ্রেফতারে পুলিশের অনীহার কারণে জনমনে নানা প্রশ্নের সঞ্চার করছে। একজন হত্যা ও নাশকতা মামলার আসামী স্বত্ত্বেও পুলিশতো তাকে ধরছেইনা বরং তিনি প্রকাশ্যে থানায় গিয়ে ওসির কক্ষে থাকা চেয়ারে সমানে সমানে বসে চা পান করে খোশগল্পে মত্ত থাকতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার নিজ এলাকা নবীগঞ্জ কামাল উদ্দিনের মোড়ের বাসিন্দা জানান,নিয়াজ উদ্দিন এবং তার অন্যতম সহযোগী পাসপোর্ট বাবুসহ অন্যান্যরা মিলে আওয়ামীলীগের শামনামলে এলাকায় রামরাজত্ব কায়েম করে চলেছে। এমন কোন ব্যক্তি নেই যাদেরকে তারা হয়রানি করেননি। কোন কারণ ছাড়া নিজেদের স্বার্থের জন্য ছোট ছোট কিশোরদেরকেও অহেতুক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতো। সবচেয়ে অবাক বিষয় হলে নিয়াজ উদ্দিন ছাত্র জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলনে ফতুল্লা থানা ও হেফাজত কর্মী হত্যা মামলার আসামী নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ অথচ এখনো সে প্রশাসনের নাগের সামনে দিয়ে ঘুরলেও যেন তাকে চিনে না প্রশাসন। টাকার কাছে সকলেই পুনরায় হাত বাড়াতে শুরু করেছে। গত ২০ ডিসেম্বর ফতুল্লা থানা পুলিশ নিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করলেও ২০লাখ টাকার বিনিময়ে থানা থেকেই চলে আসে। তবে পুলিশ বলছে উল্টো কথা। একাধিক মামলার আসামী জামিন ছাড়া প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরাফেরা করে কিভাবে? এমনই প্রশ্ন সচেতন মহলের। মুনতাসীর মামুনের লেখা বইয়ে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ্য করেছে যে মহিউদ্দিন আহমেদ অর্থাৎ নিয়াজ উদ্দিন আহমেদর পিতা ছিলেন শান্তি কমিটির সভাপতি। নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের খুটির জোর কোথায়? কোন সে অদৃশ্য কালো শক্তি তাকে পেছন হতে শেল্টার দিচ্ছে তাও খুঁজে বের করে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে যাওয়া উচিত হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল। এখানেই শেষ নয় মসজিদের সম্পত্তি গ্রাসের অভিযোগও রয়েছে সেই আলোচিত সমালোচিত নিয়াজের বিরুদ্ধে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ কামালউদ্দিন মোড়স্থটি হোসেন রোডের হাজী জালাল সরদার জামে মসজিদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে ওসমান দোসর নিয়াজ মাহমুদের বিরুদ্ধে। মসজিদের ওয়াকফকৃত সম্পত্তিতে ইতোমেধ্যে একটি নামধারী স্কুলও গড়ে তুলেছে সে। তার এহেন আচরণে ফুঁসে উঠতে শুরু করছে মুসল্লীসহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মসজিদের নিয়মিত নামাজ আদায়কারী মুসল্লী জানান,নিয়াজ মাহমুদ একজন সুবিধাবাদী লোক। নিজের প্রয়োজনে সে যে কোন ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে মানুষের জায়গা-জমি দখলে নেয়। তার নামে যে কমিউনিটি সেন্টার সেটাও তার জায়গা না। অনেকের ওয়ারিশের সম্পত্তি সে একাইজোরপূর্বক দখলে নিয়েছে। এখন আবার স্বয়ং আল্লাহর ঘর মসজিদের জায়গাও দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই সম্পত্তির কিছু অংশ তাদের ছিল কিন্তু তারা সেগুলো ওয়াকফ করে দিয়েছেন দলিলে তার সাক্ষরও রয়েছে অথচ নিজের স্বার্থে এখন সেই জায়গাও দখলে নিতে চাইছে। যারা মসজিদের সম্পত্তি নিয়ে কাড়াকাড়ি করে তারা কাফেরের বংশধর। অপরাপর মুসল্লী একই শর্তে জানান,নিয়াজ মাহমুদের সঙ্গে কথা বললে মনে হয় সে ভাজা মাছ উল্টিয়ে খেতে জানেন না আসলে সে অনেক গভীর জলের মাছ। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সে বন্দরের অনেকের জায়গা দখল করেছে। সেলিম ওসমান,শামীম এবং আজমীর ওসমানের দোসর ছিলেন তিনি। যখন যেখানে যাকে প্রয়োজন তখন সেখানে তাকে দিয়েই কাজ বাগিয়ে নিতেন। আওয়ামীলীগের ক্যাডার শাহ নিজাম,হেলালসহ সবার সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধাচরণ করতে সাহস পেতো না। ইদানীং সে আবার নিজেকে বিএনপি-জামায়াতের অনুসারী দাবি করে মসজিদটি নিয়ে নানা তালবাহানা করছে। এলাকাবাসী নিয়াজ মাহমুদের রাহুর গ্রাস থেকে জালাল সরদার মসজিদের সম্পত্তি মুক্ত চান। তার প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্থানীয় পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের হস্তপেক্ষ কামনা করছেন। সোনারগাঁয়ে হেফাজত কর্মী হত্যার ৩ বছর পর মামলা ও সাবেক ২ এমপির সাথে নিয়াজ উদ্দিনসহ ১২৮ জনের নামে মামলা। ছাত্র জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলনে ওসমান পরিবারের সক্রিয় নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে, অন্যের জমিসহ মসজিদের জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নবীগঞ্জ ১নং টি-হোসেন রোড জালাল সরদার জামে মসজিদের নামে দুই বারে ১০ শতাংশ ৩৩ পয়েন্ট জমি ওয়াকফ দেওয়া হয়। প্রথম বারে হাজী মোসলেহ উদ্দিন আহাম্মেদ ৩ শতাংশ ৩৩ পয়েন্ট জমি ওয়াকফ দেয় ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখ,যাহার দলিল নাম্বার (৮৬২৯)। ২য় বারে মোসলেহ উদ্দিন আহাম্মেদ গং ও নিয়াজ উদ্দিন আহাম্মেদ গংরা ৭ শতাংশ জমি ওয়াকফ দেয় ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ৩০ তারিখ,যাহার দলিল নাম্বার (৫৩৫১)।
দুই বারে মসজিদের জমি হয় ১০ শতাংশ ৩৩ পয়েন্ট। আমরা মিয়াজান সরদারের ওয়ারিশ হিসেবে ১৭ শতাংশ জমি পান তার থেকে ৩ শতাংশ জমি মসজিদের নামে না-দাবী দেন ৩০/১০/২৪ সালে,যার দলিল নাম্বার (৬৭৩৮) মসজিদের দখলে আছে ৭ শতাংশ,বাকি ৩ শতাংশ ৩৩ পয়েন্ট জমি নিয়াজ সাহেব দখল করে আছে,মসজিদকে ৩ ওয়াকফ দেওয়ার পড়ে ১৪ শতাংশ জমি পান তাও নিয়াজ দখল করে আছে,তাই আমরা ১৪ শতাংশের জন্য কোর্টে মামলা করি,যাহার মামলা নাম্বার ২৯৫/২০২৪ তার সাথে মিমাংসা করতে চাইলে হত্যার হুমকিসহ কমিটির লোকজনকে জেল খাটিয়েছেন এবং আরো খাটানোরও হুমকি দেন। এরপর জমির জন্য বিরুদ্ধে,মামলা দেন চাদাবাজি ধারা,৩২৬ সহ আরো একাধিক মিথ্যা কাহিনী দিয়ে একাধিক ধারা বানিয়ে মামলা দেন। সর্বশেষ তার উপর হামলা এবং কমিউনিটি সেন্টারে হামলা ভাংচুরসহ ৩২৬ ধারা দিয়ে আমাদের ফাসানোর জন্য হসপিটালে ৩ দিন ভর্তি ছিলেন,এমসি রিপোর্টে ৩২৬ বসানোর জন্য নানান নাটক করছেন,আরে মিয়া ঘটনার পড়েইনা থানায় গেলেন,সাংবাদিকদের সাথে কথা বললেন ২৫ তারিখ অভিযোগ করলেন ২৬ তারিখ মামলা নিয়ে নিলো তদন্ত না করেই মামলা হয়ে গেলো,মানুষ এই গুলো বুঝে। উক্ত মামলার বিষয়টি প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের অনুরোধ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে উল্লেখিতরা বলেন, মসজিদের জমির জন্য যদি মেরেও ফেলে ইনশাআল্লাহ মসজিদের জমির জন্য মরতেও রাজি আছি,জেলে থাকতেও রাজি আছি,আপনার হুমকিকে আমাদের সমাজ আর ভয় পায়না,আপনি ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দিলেন আপনে একটা মামলাবাজ, পঞ্চায়েতের মুরুব্বিদের ও আপনে মিথ্যা মামলা দেন, এই মিথ্যা মামলার নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানাই,আমাদেরকে আল্লাহ রক্ষা করবে ইনশাআল্লাহ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)