কাদাকাটি মেহেরুল্লাহর সম্পদের উপর নারকীয় তান্ডপের অভিযোগ
জি এম মুজিবুর রহমান ঃ আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে মেহেরুল্লাহ সরদার এর সম্পদের উপর শত্রুতামূলক ভাবে নারকীয় তান্ডপ চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। একের পর এক তান্ডপের শিকার মেহেরুল্লাহ পরিবার চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।কাদকাটি গ্রামের বজলে রহমানের ছেলে মেহেরুল্লাহ সরদার সমাজে নানা সুকর্মের সাথে জড়িয়ে বেশ সুখেই বসবাস করে আসছিলেন। দু’মাস পূর্বে কে বা কারা তার গরুকে বিষ খাওয়ায়ে শত্রুতা শুরু করে। তখন তিনি ভেবেছিলেন হয়তা এটি সাধারণ ঘটনা। কিন্তু না এক সপ্তাহ আগে যখন তার ছাগল মেরে ফেলানো হলো তখন বিষয়টি তিনি হতাশ হয়ে পড়লেন। এদিন কে বা কারা তার ছাগলের মুখে টেপদ্বারা আটকে দিয়ে হত্যা করে। একই সপ্তাহে তার ১০ কেজি ধানের পাতার ক্ষেতে কেরসিন ঢেলে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়। এরপর ৫/৭ শত গোবর নুড়ি পানিতে ফেলে নষ্ট করা হয় এবং মুরগির ঘরে বিষ মাখানো ভাত দিয়ে ৭টি রাজ হাঁস ও মুরগি মেরে ফেলান হয়। এরপর তার পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলান হয়। হতভম্ব হয়ে পড়া মেহেরুল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন কি করবে ভেবে পাচ্ছিলেননা। অনেককে জানিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ পরিবারটিকে ক্ষতি করে তবুও যেন প্রতিপক্ষ ও মানুষ নামের কলঙ্ক ব্যক্তিরা আরও ক্ষতি করার লালসায় বিভোর হয়ে উঠেছিল। তাই সোমবার (৬ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে তার ১০ হাজার বিচালীর গাদায় আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। রাত্র ১ টার দিকে জেগে গিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে হতবাক মেহেরুল্লাহরা চিৎকার শুরু করলে লোকজন দৌড়ে গিয়ে পানি ঢেলে নেভানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে প্রায় সব বিচালী পুড়ে যায়।মেহেরুল্লাহ জানান, কে বা কারা ক্ষয়ক্ষতি করছে নিজের চোখে আমি দেখিনি। তবে গত বছর মেয়ে বিয়েকে কেন্দ্র করে গোলযোগে আমার স্ত্রী নিলুফা বাদী হয়ে ২৮/৭/২৪ তাং মাননীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৭ ধারায় মামলা করেছিল। এরপর থেকে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি শুরু হয় বলে তিনি দাবী করেন।কাদাকাটি কেন্দ্রীয় আহলে হাদীস জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আঃ মালেক জানান, মেহেরুল্লাহ সরদার একজন সৎ ও ভাল মানুষ। তার উপর এধরনের ক্ষয়ক্ষতি ধিক্কার জনক।