সাতক্ষীরায় দুই সাবেক সাংসদসহ ৬০ জনের নামে মামলা
রঘুনাথ খাঁ ঃ বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগষ্ট দুপুর ১২টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের সামনে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আবু হুরাইরা ও নাহিদ ইসলাম নামের দুই ছাত্র বাম উরুতে গুলিবিদ্ধ হওয়া ও নাইমুন রহমান চৌধুরীসহ কয়েকজনের শরীরে ছাররা গুলি লাগার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড় দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রব এর ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বায়ক আবু হুরাইরা বাদি হয়ে রবিবার সাাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলা(সিআর-১৪/২৫) দায়ের করেন। বিচারক জিয়াউল হক আগাামি ২০ মে এর মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ ২০/২৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সাংসদ লায়লা পারভিন সেঁজুতি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক আবু আহম্মেদ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবু, সাবেক সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, আওয়ামী লীগ নেতা আ.হ.ম তারেকউদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন যাদু, শ্যামনগরের আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাষক মোশারফ হোসেন, জেলা মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা ছিদ্দিক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিেেরাজ কামাল শুভ্র, আশাশুনির খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিম, সাবেক সাংসদ আশরাফুজ্জামান আশুর ছেলে কামরুজ্জামান হিমেল, কালিগঞ্জের বাঁশতলা বাহারের মৃত সামছুর সরদারের ছেলে কামাল হোসেন, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভিন, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাঈদ মেহেদী ও উত্তর কাটিয়ার হাসান ইমাম।
মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট দুপুর ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শিক্ষার্থীরা শহরের ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের সামনে জড়ো হতে থাকে। এমন সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নেতা কর্মী ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা আন্দোলনকারিদের উদ্দেশ্য করে গুলি ছোঁড়ে। তারা দা , লাঠি, ইট দিয়ে মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় সমন্বয়কারি আবু হুরাইরা ও নাহিদ ইসলামের বাম উরুতে গুলি লেগে জখম হয়। নাইমুন রহমান চৌধুরীসহ কয়েকজনের শরীরে ছাররা গুলি লাগে জখম হয়। আহতদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। থানা মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করা হলো।
বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. আরিফুর রহমান আলে।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন