কালিগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলৎকারের অভিযোগ
রঘুনাথ খাঁ ঃ সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার হিজলা কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারী মোঃ আহ্ছানউল্লাহ’র বিরুদ্ধে মোঃ ১২ বছরের এক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থী কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের একটি গ্রামের কৃষকের ছেলে। ভুক্তোভোগি ছাত্রের বড় চাচী জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আসাদুল্লাহ একজনের মোবাইল থেকে বাড়ীতে জানায় যে, সে খুবই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। তাকে তাড়াতাড়ি বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে। খবর শুনে তার বড় চাচা যেয়ে জানতে পারে মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারী আহছানউল্লাহ তাকে বলৎকার করেছে। বিষয়টি শোনার পর প্রধান শিক্ষক মাওলানা আনছার আলীকে জানালে তিনি (আনছার) বলেন, ঘটনাটি কমিটির সভঅপতিকে জানানোর পর রবিবার সন্ধ্যায় আলোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো জানান, পরদিন সকালে তারা আবারও মাদ্রাসায় গেলে ঐ শিক্ষক আহছানউল্লাহ তার অপরাধের কথা স্বীকার করে আর জীবনে এমন জঘন্যতম কাজ করবে না বলে ক্ষমা চায়।এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সহ স্থানীয় কয়েকজন জানান, এই মাদ্রাসায় এর আগেও কয়েকবার এধরনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু মাওলানা আনছার আলী কৌশলে ধামাচাপা দিয়েছে। যার কারণে এধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটে চলেছে।অভিযুক্ত শিক্ষককে মাদ্রাসায় না পাওয়ায় ও তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।কালিগঞ্জ উপজেলার হিজলা কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা আনছার আলী জানান, ঘটনাটি খুব বড় নয়। শিক্ষক আহছানউল্লাহ ঐ ছাত্রকে দিয়ে তার গা, হাত, পা টিপিয়ে নিয়েছিলো। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ায় তাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে কালিগঞ্জ উপজেলার হিজলা কাসেমুল উলুম মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনারুল ইসলামের(মাছ) সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।