আশাশুনিতে যিকিরে অভ্যস্থ করতে গাছে গাছে আল্লাহর গুনবাচক নাম
জি এম মুজিবুর রহমানঃ আশাশুনির উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মানুষকে প্রভুর যিকিরে অভ্যাস্থ করে তুলতে সড়ক ও মেঠো পথের পাশে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আল্লাহর গুণবাচক নাম। বিশেষ জামে মসজিদের আসপাশের সড়ক ও রাস্তার গাছের সাথে যিকির লেখা ছোট ছোট সাইন বোর্ড টানানো হয়েছে। এতে এলাকার মানুষ ও পপথচারীরা যিকির করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং জানতে পারছেন আল্লাহর গুণবাচক নামের অর্থও।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, মনজিদের মুসল্লিদের পক্ষ থেকে কিম্বা কোথাও কোথাও কোন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্ব উদ্যোগে এই মহৎ কাজ করা হয়ে থাকে। এমনই একটি সামাজিক সংগঠন হলো, খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া স্বপ্ন ছোঁয়া সংগঠন। এই সংগঠনের একঝাক তরুন সদস্যদের উদ্যোগে এমন মহৎ কাজ করা হয়েছে। খাজরা ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশ জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সবুজের সমারোহে ভরা এই সড়কে চলার পথে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আল্লাহ তায়ালার নাম সম্বলিত ছোট ছোট সাইনবোর্ড। ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গাছে মহান সৃষ্টিকর্তার গুণবাচক নাম সম্বলিত ছোট ছোট সাইনবোর্ড সাঁটানো রয়েছে। কোনটাতে আল্লাহর নাম আবার কোনটাতে আল্লাহু ও রসূলের নাম সম্বলিত বিভিন্ন দোয়াও আছে। ছোট সাদা প্লাকার্ড জাতীয় কাগজে কালো কালিতে লেখা ‘আল্লাহর নাম’ সম্বলিত ছোট ছোট পোস্টার চোখে পড়বে সড়ক গুলোতে। গাছে পেরেক ঠুঁকে সাঁটানো রয়েছে সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আলহামদু লিল্লাহ ও ফি-আমানিল্লাহসহ আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক বহু নাম। যা খুব সহজেই পাথচারীর নজর কাড়ে। আর ধর্মপ্রাণ মানুষ খুশি এমন মহৎ ও ব্যতিক্রমি উদ্যোগের জন্য।
এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি মোঃ সাইফুল্লাহ জানান, আমরা চিন্তা ভাবনা করলাম আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কিভাবে সমাজে ভাল কাজ করা যায়। সেই চিন্তা ভাবনা থেকে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে এ কাজটি শুরু করি। আমরা এ পর্যন্ত ৯৫ টি প্লাকার্ড লাগিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সমস্ত উপজেলায় লাগানোর কাজ চলবে।
এক পথচারী জানান, নিয়মিত এই সড়ক দিয়ে আমি যাতায়াত করি। চলার পথে সৃষ্টিকর্তার নাম ও প্রশংসা সম্বলিত লেখাগুলো আমাকে আনন্দ দেয়। চোখ পড়তেই লেখাগুলো পড়ি, এটা সওয়াবের (পূণ্যের) কাজ। যারা এগুলো গাছে সাঁটিয়েছে তারা তো সওয়াব পাচ্ছেন। আমরাও চলার পথে যিকির করে সওয়াব পাচ্ছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।