আজিমপুরেই প্রবীর মিত্রের দাফন
বিনোদন ডেস্ক:ঢাকাই সিনেমার প্রবীণ অভিনেতা ‘রঙিন নবাব’ খ্যাত প্রবীর মিত্র। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রবীর মিত্রের ছেলে মিথুন মিত্র। তিনি জানিয়েছেন, সোমবার বাদ জোহর এফডিসিতে বাবার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নেয়া হবে চ্যানেলে আইতে, সেখানে আরেক জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে বাবাকে দাফন করা হবে।এর আগে, গেল ২২ ডিসেম্বর থেকে নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রবীর মিত্র।
বিয়ের সময় মুসলমান হিসেবে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন প্রবীর মিত্র। ইসলাম গ্রহণের পর প্রবীর মিত্রের নাম রাখা হয় হাসান ইমাম। প্রবীর মিত্রের স্ত্রী অজান্তা মিত্র মারা যান ২০০০ সালে। তার তিন ছেলে মিথুন মিত্র, সিফাত ইসলাম, সামিউল ইসলাম। এক মেয়ে ফেরদৌস পারভীন। এরমধ্যে মারা গেছেন সামিউল।জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রবীর মিত্র ‘লালকুটি’ থিয়েটার গ্রুপে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে ‘জলছবি’ শিরোনামে সিনেমার মধ্য দিয়েছে বড়পর্দায় তার অভিষেক হয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে নায়ক চরিত্রে দেখা গেলেও বেশির ভাগ সিনেমায় চরিত্রাভিনেতা হিসেবে দেখা মিলেছে তার।অভিনয়ের বাইরে প্রবীর মিত্র ষাটের দশকে ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট খেলেছেন, ছিলেন অধিনায়ক। একই সময় তিনি ফার্স্ট ডিভিশন হকি খেলেছেন ফায়ার সার্ভিসের হয়ে। এ ছাড়া কামাল স্পোর্টিংয়ের হয়ে সেকেন্ড ডিভিশন ফুটবলও খেলেছেন।সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় অভিনয় শুরু করেন প্রবীর মিত্র। এইচ আকবর পরিচালত ‘জলছবি’ সিনেমাতে চিকিৎসকের চরিত্রের মধ্যে দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে সূচনা হয় তার। এরপর একই পরিচালকের ‘জীবন তৃষ্ণা’ সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘চাবুক’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার পুরস্কার ভাগ্য প্রসন্ন নয়। কেবল ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।