কলারোয়া ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জমজমাট প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ
কামরুল হাসান:
কলারোয়া ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জমজমাট এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ শুক্রবার(৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাগারে মৃত্যুবরণকারী চার নেতাকে স্মরণ করে খেলাটি আয়োজন করা হয়। উপজেলা ছাত্রদল আয়োজিত এই প্রীতি ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বী দল ছিলো সাবেক ছাত্রদল ও বর্তমান ছাত্রদল একাদশ। শুক্রবার সকাল ১১ টায় কলারোয়া ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত এ ক্রিকেট ম্যাচে সাবেক ছাত্রদল একাদশের নেতৃত্ব দেন আশরাফ হোসেন ও বর্তমান ছাত্রদল একাদশের নেতৃত্ব দেন শাহজালাল আহমেদ সাজু। এর আগে কারাগারে মৃত্যুবরণকারী মাহফুজুর রহমান সাবুসহ চার নেতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর মাঠে গড়ায় খেলাটি। ক্রিকেট ম্যাচটি ঘিরে শুক্রবার সারাদিন কলারোয়া ফুটবল ময়দান নতুন সাজে সজ্জিত করা হয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নজরকাড়া প্লাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার, বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছিলো মাঠের চারপাশে। মূলমঞ্চের সামনে বিশাল জাতীয় পতাকা। পতাকার সামনে স্থাপন করা হয় দলীয় প্রতীক ধানের শীষ। সবমিলিয়ে এক বর্ণিল পরিবেশে প্রীতি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচের অন্যতম আয়োজক জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন বলেন, যুব ও তরুণ সমাজকে ক্রীড়ামুখী ও মাদকবিরোধী সচেতনতা গড়ে তুলতে এ খেলাটি আয়োজন করা হয়। খেলাটি ইনিংসভিত্তিক একদিনের ম্যাচে পরিণত করা হয়। টসে জিতে সাবেক ছাত্রদল একাদশের অধিনায়ক সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে ব্যাট করে সাবেক ছাত্রদল একাদশ ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। ১৮৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করে ছাত্রদল একাদশ ৩ উইকেটে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে। জয় থেকে মাত্র ১৫ রান দূরে থাকা অবস্থায় আলোক স্বল্পতা দেখা দেওয়ায় উভয় আম্পায়ার ম্যাচটি ড্র হিসেবে নিষ্পত্তি ঘোষণা করেন। খেলাটি পরিচালনা করেন মিয়া ফারুক হোসেন স্বপন ও মাসুদ পারভেজ মিলন। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ বিবেচিত হন সাবেক ছাত্রদল একাদশের শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন। সেরা খেলোয়াড় বিবেচিত হন বর্তমান ছাত্রদল একাদশের প্রিন্স। খেলোয়াড় ও দর্শক হিসেবে ম্যাচটি উপভোগ করেন সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ তামিম আজাদ মেরিন, বিএনপি নেতা আখলাকুর রহমান শেলী, গোলাম রসুল, ইয়াছিন আলি, সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এমএ হাকিম সবুজ, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও কলারোয়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক তাওফিকুর রহমান সঞ্জু, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রভাষক সালাউদ্দিন পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর, যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম আফজাল হোসেন পলাশ, খালিদ মঞ্জুর রোমেল, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মাস্টার মনিরুজ্জামান, খালিদ খান, শেখ ফরহাদ হোসেন তপু, যুবদল নেতা রুহুল আমিন খোকন, আলতাফ হোসেন, আলমগীর কবির, সাবেক ছাত্রদল নেতা এমএ রব শাহিন, মীর রফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, রবিউল ইসলাম রবি, মফিজুল ইসলাম মফি, ছাত্রদল নেতা সৈকত, আবির প্রমুখ। খেলাটির ধারাভাষ্যে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, মাস্টার শেখ শাহাজান আলি শাহিন ও মাস্টার আব্দুল ওহাব মামুন। স্কোরারের দায়িত্ব পালন করেন মাস্টার মিজানুর রহমান ও ক্রীড়া সংগঠক বাপ্পি।