ফিরিয়ে আনা হচ্ছে শেখ হাসিনার ‘ঘৃণাস্তম্ভের’ স্বরূপ

অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ পুনরায় স্বরূপ দেওয়া শুরু হয়েছে। ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শিমুল কুম্ভকার পুনরায় এটির রূপ দিচ্ছেন।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এ কার্যক্রম শুরু হয়। সোমবার ভোরে দেখা যায়, এখনো পুরো কার্যক্রম শেষ হয়নি।

এসময় স্তম্ভটির কাছে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা এসেছেন। অনেকেই এসে শেখ হাসিনার বিচার চেয়ে স্লোগান দিয়েছেন।

সকালে এখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক রিফাত রশীদ, ছাত্রদলের বিজয় একাত্তর হলের নেতা তামভীর আল হাদী মায়েদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমম্বয়ক সরদার নাদিম শুভ, মো. মহিউদ্দিন।

রাতে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদের অনুমতিতে মেট্রোরেলের কর্মীরা মেট্রোরেলের পিলারে আঁকা হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি মুছে ফেলছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা এসে বাধা দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অনুমতিতেই এই কার্যক্রম চলছিল বলে জানতে পারেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই একটি পিলারে শেখ মুজিবুর রহমানের সম্পূর্ণ ছবি অন্যটিতে শেখ হাসিনার ছবির মুখের অংশ মুছে ফেলা হয়।

পরে শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়ে মোছা বন্ধ করেন এবং পুনরায় শেখ হাসিনার ছবি এঁকে দেন। তবে সেখানে ফের আঁকা হচ্ছে শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ চিত্র।

এদিকে শনিবার রাত থেকেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদের অনুমতি নিয়ে এই কাজ করা হয়েছে জেনে তার পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

সমালোচনা ও বিক্ষোভের মধ্যে শেখ হাসিনার ‘গ্রাফিতি’-কে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গ্রাফিতি মোছার বিষয়ে অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেছিলেন, গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামের ছবি তোলে। এই ছবিগুলোর সঙ্গে শেখ হাসিনার এবং শেখ মুজিবের ছবি যায়। তাই ওরা বলেছে, এখনো টিএসসিতে কীভাবে তাদের ছবি থাকে। তখন আমি ভারপ্রাপ্ত স্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মুস্তাফাকে বললাম মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বলার জন্য। পরে মেট্রোরেলের পক্ষ থেকে লোক পাঠিয়ে মুছে ফেলা হয়। এটি একেবারেই একটা নিষ্পাপ সিদ্ধান্ত। এখানে কারও কোনো ষড়যন্ত্র নেই।

প্রসঙ্গত, গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ অগাস্টে সরকার পতনের পর শেখ হাসিনার ওই ছবি লাল রঙের ছোপ দিয়ে তাতে জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। ওই ছবিটি জনতার ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রতীক হয়ে ওঠে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)