কাঁটা নটে শাকের ভেষজ উপকারিতা
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
গ্রামবাংলার অতি পরিচিত একটি শাক হলো কাঁটা নটে শাক। এটি বর্ষজীবী গুল্ম শ্রেণীর উদ্ভিদ। সাধারণ ভাবে এর কান্ড এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায়। কান্ড শক্ত গাঁটযুক্ত এবং কাঁটায় ভরা থাকে। শুধু কাঁটা নয় এই শাকের অনেক উপকারিতাও রয়েছে।চলুন জেনে নিই নটে শাকের কী কী উপকারিতা রয়েছে।
পুষ্টিগুণ: কাঁটা নটে শাকে উন্নত মানের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আহার উপযোগী কাঁটা নটে শাকে রয়েছে-প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, থায়ামিন, রিভাফ্লাভিন, নিয়াসিন, খনিজ উপাদানের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আইরন, ম্যানেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, আরোও রয়েছে লাইসিন, ট্রিপটোফেন ইত্যাদি।
উপকারিতা-
মাথা ব্যথা: আট গ্রাম কাঁটা নটের মূল এবং এক গ্রাম গোলমরিচ, এ দুটোকে সামান্য পানি দিয়ে বেটে কপালে প্রলেপ দিলে মাথা ব্যথা সেরে যাবে।
পেটে যন্ত্রণায়: তিন থেকে চার গ্রাম নটের মূল এবং এক গ্রাম রসাঞ্জন। এ দুটিকে রোজ একবার করে খেলে পেটে যন্ত্রণার রোগী অবশ্যই উপকার পাবেন।
গনোরিয়া রোগে: কাঁটা নটের টাটকা তুলে এনে তা সামান্য পানি দিয়ে শিলে বেটে তার সম্পূর্ণ রস আধা কাপ ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে দেড় চা চামচ চিনি বা মিছরির গুড়া কিংবা সম পরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে অব্যর্থ সুফল পাওয়া যায়।
বুকের দুধ বাড়ায়: যে সব মায়েরা বাচ্চাদের দুধ খাওয়ান তারও নটে শাক ভাজা করে খেলে সুফল পাবেন।
মায়েদের জন্য উপকার: যারা মা হতে চলেছেন যারা ছোট শিশুর মা যারা সদ্য মা হয়েছেন তারা নটে শাক খেলে উপকার পাবেন । যারা শরীরিক দিক থেকে খুব দুর্বল তাদেরও নির্ভয়ে খেতে দেওয়া যেতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভূগছেন তারা নিয়মিত এই শাক খেতে পারেন। তাহলে এই কষ্ট দূর হবে এবং শরীর ও পুষ্টি লাভ করবে।
রক্তপিত্ত সারাতে: নটে শাক ভাজা, নটে শাকের রস বা নটে শাকের পাতা পিষে নিয়ে খেলে রক্তপিত্ত সারে নাক মুখ থেকে রক্তপড়া বন্ধ হয়।