মহেশ্বরকাটি মৎস্য সেটে ২৫ বছর ব্যবসাকারী ৬ জনকে উচ্ছেদে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
জি এম মুজিবুর রহমান:
আশাশুনি উপজেলার বৃহত্তর মৎস্য সেট মহেশ্বরকাটিতে ২৫ বছর ধরে ঘর বেধে ব্যবসাকারী ৬ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সত্যদাশ বাদী হয়ে থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের শিকার ব্যবসায়ীরা জানান, সেটের আশাশুনি সাতক্ষীরা সড়কের পশ্চিম পাশে কাঁকড়া ব্যবসায়ী গোবিন্দ সরকার, পোল্ট্রি ব্যবসায়ী রিপন, স্যালুন ব্যবসায়ী সুমন পরামানিক, গোপাল পরামানিক, গুরুপদ পরামানিক ও ঝুড়ি-ডালা ব্যবসায়ী সত্যদাশ দক্ষিণ চাপড়া গ্রামের রউফ সরদারের জমিতে ঘরবাড়া নিয়ে ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছে। মৃত রউফ সরদারের ছেলে আহসান তাদের কাছ থেকে ঘরের ভাড়া নিতেন। ২০১৭ সালে জমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে খাস হয়ে গেলে মালিক পক্ষ নগদ কিছু টাকা নিয়ে পজেশান হস্তান্তর করেন এবং সেই থেকে তারা বিনা ভাড়ায় ঘরে ব্যবসা করে আসছেন। পরবর্তীতে তারা জমির ডিসিআর পেতে সওজ কার্যালয়ে আবেদন করেন। বর্তমানে ডিসিআর বন্ধ থাকায় আবেদনটি সওজ অফিসে রয়েছে। ৫ আগষ্টের পরে ইয়াছিন দিং ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দাবী করে না হলে ঘর ছেড়ে দিতে চাপ দিতে থাকেন। ভুক্তবুগিরা জানান, এনিয়ে থানায় বসাবসি ও সরেজমিন আমিনদ্বারা মাপজোক করা হয়েছে। এরপর কয়েকবার তারা পুলিশের ডাকে সাড়া দিয়ে অফিসে গেলেও দিন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গত ২৬ ডিসেম্বর ইয়াছিন, মিজানুর, বাহাদুর দিং ব্যবসায়ীদেরকে ঘর ছেড়ে দেওয়ার হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়ে ব্যবসা বন্ধের হুমকী দেয়। তাদের ঘরের সামনে বাঁশের বোঝা রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। এব্যাপারে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। তারা পুলিশ প্রশাসন, সওজ ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছে।
অভিযুক্ত আনিছুর রহমান জানান, আমাদের কোবালা দলিল আছে, ডিসিআর আছে। ওদের দোকানের মধ্যে আমাদের জমি রয়েছে। সকল কাগজপত্র আমাদের বাড়িতে আছে। আমরা পরে দেখাব।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু জানান, দোকান ঘর সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমির উপর। অসহায় কিছু পরিবার সেখানে প্রতিদিন শ্রম দিয়ে স্বল্প আয় করে তা দিয়ে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছে। তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের আয়ের একমাত্র স্বম্বলটি রক্ষার দাবী জানান।
এএসআই শফিকুল ইসলাম জানান, আমার স্ত্রীর অসুস্থতার কারনে আমি বসতে পারিনি। ওসি স্যার ওদের নিয়ে বসেছিলেন, কি হয়েছে আমি জানতে পারিনি।