সচিবালয়ের আগুন পরিকল্পিত হতে পারে, ব্যাখ্যা দিলেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা
অনলাইন ডেস্ক:
নৌবাহিনীর সিনিয়র চিফ পেটি অফিসার(পিও) আমিনুল ইসলাম বলেছেন, সচিবালয়ে লাগা আগুন পরিকল্পিত হতে পারে। কারণ আগুনটা লেগেছে ছয় তলা, নয় তলার পাশাপাশি মাঝেও। এভাবে বিভিন্ন স্থানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন কখনো লাগে না। এটা পরিকল্পনা মাফিক হতে পারে।
সচিবালয়ে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তায় ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় নৌ বাহিনীর একটি টিমকে। সেই টিমের একজন আমিনুল ইসলাম।
পরিদর্শন শেষে সচিবালয়ে সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যেখানে যেখানে আগুন লেগেছে সব পুড়ে গেছে। আমরা সব এখনো আইডেন্টিফাই করতে পারিনি, তবে করবো। আমাদের নৌ বাহিনীর টিম এখানে আছে, কাজ করছে।
কেন মনে হচ্ছে এটা পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড? জানতে চাইলে নৌবাহিনীর সিনিয়র চিফ পেডি অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, শর্ট সার্কিটের আগুন লাগে এক জায়গা থেকে, সব জায়গায় এক সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে না। এই আগুন এক সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে লেগেছে। সঙ্গতঃ কারণে সন্দেহ হচ্ছে এটা পরিকল্পিত আগুন।
বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠতলায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সংবাদ সম্মেলন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ২০টি ইউনিট ও ২১১ জন ফায়ার কর্মী কাজ করেছেন। তবে জায়গার সংকটের কারণে ১০টি ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পেরেছে।
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ষষ্ঠ ও সপ্তম তলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা ছাড়া বেশির ভাগ তলাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।
পানির কোনো সংকট ছিল না দাবি করে ডিজি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগলেও এখানে পানির কোনো সংকট ছিল না। পাশেই ওসমানি মিলনায়তন থেকে পানি পেয়েছি। ওয়াসার গাড়ি এসে পানি দিয়ে গেছে। কিন্তু সচিবালয়ের কক্ষগুলো আবদ্ধ ও গ্লাস লাগানো থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে।