বিয়ের পর সামাজিকভাবে ছাড়াছাড়ি, অস্ত্রের মুখে প্রবাস ফেরত নারীকে ধর্ষণ
অনলাইন ডেস্ক:
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সাবেক স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বামী কামাল উদ্দিন নামে এক নির্মাণ শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় কটিয়াদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ধর্ষণের শিকার ওই প্রবাসী নারী।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চর নোয়াকান্দি গ্রামে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত কামাল উদ্দিন একই গ্রামের মৃত ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী প্রবাস ফেরত নারী (৫৫) দীর্ঘদিন সৌদি আরব ও ওমানে ছিলেন। তিনি প্রবাসে কাজ করে বেশ কিছু টাকাপয়সা উপার্জন করলে তার টাকার ওপর নজর পড়ে একই গ্রামের কামাল উদ্দিনের। ওই নারীর বয়সের চেয়ে কামাল অন্তত ১০ বছরের ছোট হলেও নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাকে রেজিস্ট্রিবিহীন সামাজিকভাবে বিয়ে করেন। এরপর বিভিন্ন কৌশলে হাতিয়ে নেন প্রবাসীর সব উপার্জিত অর্থ। একপর্যায়ে প্রবাসীর টাকা শেষ হয়ে গেলে তার সঙ্গে সম্পর্কও শেষ করে ফেলেন কামাল।
রেজিস্ট্রিবিহীন বিয়ে সামাজিকভাবে এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ফেলেন কামাল। কিছুদিন পূর্বে প্রবাসী নারী ১৮ লাখ টাকায় তার কিছু জমি বিক্রি করেন। এ খবর পেয়ে কামাল উদ্দিন জমি বিক্রির টাকা হাতিয়ে নিতে আবারো সম্পর্ক করতে মরিয়া হয়ে উঠেন তার সঙ্গে। নানা কলাকৌশল শুরু করেন, কিন্তু তার মন গলাতে না পেরে প্রভাব বিস্তারের জন্য ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।
একপর্যায়ে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ঘরে ঢুকে ৫০ হাজার টাকা ধার চান কামাল। কিন্তু টাকা ব্যাংকে, ঘরে নেই বলে জানান ওই প্রবাসী নারী। এ সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই প্রবাসী নারীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার চিৎকালে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এলে পুনরায় ওই প্রবাসী নারীকে বিয়ের আশ্বাস দেন কামাল। এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিলে খুন-জখমের হুমকি দেন তিনি।
ভুক্তভোগী প্রবাসী নারী বলেন, তার সঙ্গে অনেক আগেই আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। জমি বিক্রির টাকার লোভে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমাকে ধর্ষণ ও পরে খুন-জখমের হুমকি দেন কামাল। পরে থানায় অভিযোগ করেছি।
তবে অভিযুক্ত কামাল উদ্দিন বলেন, তার সঙ্গে সামাজিকভাবে আমার বিয়ে হয়েছে। মাঝে মধ্যে ঝগড়া হয়। তবে আমাদের বিচ্ছেদ হয়নি।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী ওই প্রবাসী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে কামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।