সাতক্ষীরায় লটারীতে টিকে থাকা ৭১ শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভর্তির লটারীতে টিকে থাকার পরও শুধুমাত্র বয়সের অজুহাতে সাতক্ষীরা সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারছে না ৭১ জন শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীদেরকে স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন ভর্তির লটারীতে টিকে থাকা শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান শহরের রাধানগর এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান আল কাদরীর ছেলে মো. শামিম কাদরী।

তিনি বলেন, সাতক্ষীরার সরকারি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তির আবেদনের জন্য গত ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে শিক্ষা অধিদপ্তর। সে অনুযায়ী ভর্তি ইচ্ছুক সাতক্ষীরার সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবক অনলাইনে আবেদন করেন। আবেদনের পরে বিধিমোতাবেক লটারী অনুষ্ঠিত হয়। লটারীতে দু’টি বিদ্যালয়ের দুই শিফটে মোট ৪৮০ জন আবেদনকারি শিক্ষার্থী তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করে। সে মোতাবেক লটারীতে জেতার পর আমাদের সন্তানরা যে সব স্কুলে আগে লেখাপড়া করত সেখান থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ফেলি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বয়সের অযুহাত দেখিয়ে আমাদের ৭১ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি নিচ্ছেন না। ফলে ৭১ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আমরা অভিভাবকরা চরম বিপাকে পড়েছি, তাদের ভবিষ্যত নিয়েও আমরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন।

শামিম কাদরী প্রশ্ন রেখে বলেন, যদি বয়সের কারনে আমাদের সন্তানরা ভর্তি হতে না পারে তাহলে কেন অনলাইনে তাদের আবেদন গ্রহণ করা হলো। কেনই বা লটারীতে তারা ভর্তি সুযোগ পেল। এভাবে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত কেন অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সন্তানদের নিয়ে আমরা ৭১টি পরিবার বিভিন্ন দপ্তরে ছোটাছুটি করেও কোন ফলাফল পাচ্ছি না। লটারীতে টিকে থাকা একই বয়সের শিক্ষার্থীরা খুলনা জিলা স্কুলসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্যস্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও নীতিমালার অজুহাতে সাতক্ষীরার শিক্ষার্থীদের সেই সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান ও বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম টুকু কর্তৃক গত ১৭ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত একপত্রে ভর্তি সম্পর্কিত যে পত্র দেওয়া হয়েছে সেখানে বয়সের কোন বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া অনলাইনেও বয়সের বিষয়ে কোন বিধি নিষেধ দেওয়া হয়নি। যদি থাকত তাহলে আমরা অন্যান্য স্কুল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত হুমকির মধ্যে ফেলতাম না।

তিনি লটারীতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ প্রাপ্ত ৭১জন শিক্ষার্থীদেরকে সাতক্ষীরা সরকারি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে অর্ধশতাধিক অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)