হত্যার মাস্টারমাইন নেপথ্যে আওয়ামী লীগ নেতা কৃষক বিল্লাল হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন
এস কে কামরুল হাসান: সাতক্ষীরার শ্যামনগরের রমজাননগরের আরিফ বিল্লাল ওরফে বিল্লাল হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার সুষ্ঠ বিচার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার(২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধন পালিত হয়।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রমজাননগর গ্রামের মৃত ছাত্তার গাজীর ছেলে আরিফ বিল্লাল ওরফে বিল্লাল হোসেন (৪৩)কে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে আমরা পরে জানতে পেরেছি সাবেক এমপি আতাউল হক দোলনের মামা রমজান নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মামুন শেখ, মামুন শেখের ভাইপো যুবলীগ নেতা মুজিবুল শেখ ও আ.লীগ নেতা মোক্তার গাজীর নির্দেশে চেয়ারম্যান মামুন শেখের ভাইপো আলমগীর(৪০), মৃত ইন্দু বাছাড়ের ছেলে হরিপদ বাছাড় (৫৫) ও অরুন বাছাড়, মৃত হাজড়া বাছাড়ের ছেলে অসিত বাছাড় (৫৫) পূর্বশত্রুতার জেরে বিল্লাল হোসেনকে হত্যা করে মৎস্য ঘেরে ফেলে রেখে যায়। ওই ঘটনার পর মামলা করার প্রস্তুতি নিলে তৎকালীন এমপি এস.এম. জগলুল হায়দার ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন লক্ষ লক্ষ টাকা বাণিজ্য করে ইউপি চেয়ারম্যান মামুন শেখসহ হত্যার সাথে জড়িত অনেকের নামে মামলা করতে দেননি। এমনকি তার পরিবারের সদস্যদের থানায় আটকে রেখে বিল্লালের লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে লাশ দাফনের পর মামুন শেখ, মুজিবুল শেখ ও মোক্তার গাজীর নাম বাদ দিয়ে মাত্র কয়েকজনের নামে মামলা করতে বাধ্য করে জগলুল হায়দার, আতাউল হক দোলন ও তৎকালিন থানার ওসি বাদল।তারা আরো বলেন, বিল্লালের ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন এই মামলায় অভিযুক্তদের জড়ানোর জন্য আইনী প্রক্রিয়ায় বিল্লালের স্ত্রীকে সহযোগিতা করায় তাকেও কুপিয়ে জখম করে বিল্লালের হত্যার সাথে জড়িতরা। বর্তমানে চেয়ারম্যান মামুন শেখ ও চেয়ারম্যান মামুনের মামা সাবেক এমপি শ্যামনগর ৪ আসনের আতাউল হক দোলন , ও এমপি দোলনের বাবা সাবেক সভাপতি এ কে এম, ফজলুল হক তাদের নির্দেশেই নির্মমভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন, মামুন শেখের ভাইপো যুবলীগ নেতা মুজিবুল শেখ ও আ.লীগ নেতা মোক্তার গাজীর যোগসাজসে ওই মামলার আসামী আলমগীর(৪০), হরিপদ বাছাড় (৫৫) ও অরুন বাছাড়, মৃত হাজড়া বাছাড়ের ছেলে অসিত বাছাড় (৫৫)সহ কতিপয় সন্ত্রাসীরা বিল্লালের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছেন। তারা এলাকায় বলছেন, টাকা দিয়ে আইন কিনে নেবো। ক্ষমতা গেছে তাই কি হয়েছে। ৫ লাখ টাকা দিয়ে রিমান্ড বন্ধ করেছি। ওই মামলাও কোথায় যাবে সেটি সময়ের অপেক্ষামাত্র। এছাড়া ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (পিবিআই) ইব্রাহিম মামলার বাদী আকলিমা খাতুন বলছেন, মিটিয়ে নেওয়ার জন্য। আমাদের প্রশ্ন, আমরা মামলা মিটাবো কিনা সেটি আমরা বুঝবো তবে তদন্ত কর্মকর্তার এ ব্যাপারে এত ইন্টারেস্ট কেন বুঝছিনা। আমরা আ.লীগের চেয়ারম্যান মামুন শেখ, মামুন শেখের ভাইপো যুবলীগ নেতা মুজিবুল শেখ ও আ.লীগ নেতা মোক্তার গাজীসহ হত্যার সাথে জড়িত সকলেই যাতে শাস্তির আওতায় আসে সে ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত বিল্লালের ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন, চাচাতো ভাই সবুর, মা কুলসুম, স্ত্রী আকলিমা খাতুন, মেয়ে সুমাইয়া খাতুন প্রমূখ।