সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রী অপহরণ: ৩ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার-১
গাজী হাবিব:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মির্জানগর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৫) অপহরণের অভিযোগে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা। মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ছেলের মা।
আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাঁচরখী (বৈদ্যপাড়া মোড়) গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বৈদ্য’র ছেলে আল মুহিদ হাসান শান্ত (২৫), হাফিজুর রহমান বৈদ্য’র স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৪৩) ও রংপুর জেলার কুৃড়িগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা শান্তর মামাত ভাই বেলাল হোসেন (২৪)।
এদিকে মামলার পর আসামী আল মুহিদ হাসান শান্ত’র মা ঝর্ণা বেগমকে গ্রেপ্তারেরর পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মামলা সুত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আল মুহিদ হাসান শান্ত ফুসলিয়ে নাবালিকা ওই ছাত্রীকে বিয়ের পায়তারা করছিল। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই ছাত্রীকে আল মুহিদ হাসান শান্ত, তার মা ঝর্ণা বেগম ও মামাতো ভাই বেলাল হোসেনের ইন্ধনে স্কুলে যাওয়া আসার পথে এবং নিকট আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়া আসার পথে ফুসলাইতে থাকে।
এক পর্যায়ে গত ১৩ ডিসেম্বর ওই স্কুলছাত্রী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাতানী গ্রামে তার সেজো খালার বাড়ীতে যায়। খালার বাড়ী থেকে নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে ১৫ ডিসেম্বর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাতানী রাস্তার উপর থেকে শান্তর মা ঝর্ণা বেগম ও বেলাল হোসেনের সহযোগীতায় শান্ত অপহরণ করে ওই স্কুলছাত্রীকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে পালিয়ে আছে আল মুহিদ হাসান শান্ত। সম্ভবত রংপুরের কুড়িগ্রামে শান্তর নানার বাড়ীতে লুকিয়ে আছে। তাছাড়া শান্ত ছেলেটা ভালোনা। নাবালিকা মেয়েটার ক্ষতি হতে পারে। আমরা জানতে পেরেছি মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে ইতোমধ্যে বিয়েও করেছে বখাটে শান্ত।
ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, প্রতিবেশীদের মাধ্যমে আমরা ওদের বাড়ীতে খোঁজ নিয়ে দেখেছি। ওরা আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে অজ্ঞাতস্থানে আটকিয়ে রেখেছে। আমরা খোঁজ নিতে গেলে তাচ্ছিল্য করে উড়িয়ে দেয়।
পরে আমাদের বাড়ীর ব্যবহৃত মোবাইলে ম্যাসেজ করে হুমকি দিচ্ছে। নাবালিকা মেয়ের ব্যাপারে শংকিত।
অভিযুক্ত শান্ত’র বোন শান্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওরা দু’জন দুজনকে ভালবেসে বিয়ে করেছে। ওরা ভাল আছে।’
সাতক্ষীরা থানার এসআই সরোয়ার বলেন, ‘ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই মামলায় ছেলের মাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার ও ভিকটিম স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’