দেবহাটার মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ ঘোষের বাড়িতে ডাকাতি গ্রেপ্তার রেজাউল ইসলাম তিন দিনের রিমান্ড
রঘুনাথ খাঁ ঃ গত ২৭ জুন দিবাগত রাতে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কমাÐার ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ ঘোষের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখানো আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য রেজাউল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমাÐ মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৭ এর বিচারক তনিমা মÐল শুনানী শেষে এ রিমাÐ মঞ্জুর করেন।রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া রেজাউল ইসলাম (৪৫)কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের বরকত গাজীর ছেলে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, চলতি বছরের ২৭ জুন দিবাগদ রাত দুটোর দিকে দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কমাÐার সুভাষ ঘোষের বাড়ির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে দুর্ঘর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়। ডাকাত দলের সদস্যরা পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২৭ ভরি সোনার গহনা, নগদ দেড় লক্ষাধিক টাকা, একটি মটর সাইকেল, চারটি মোবাইল ও একটি লাইসেন্সকৃত বন্দুক নিয়ে চলে যায়। ২৯ জুন সকালে বাড়ির প্রাচীরের মধ্যে ধানের গোলার পাশ থেকে লুট হওয়া বন্দুকটি পাওয়া যায়। ডাকাতির ঘটনায় সুভাষ ঘোষ বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে ২৮ জুন দেবহাটা থানায় ৯ নং, জিআর-৫৯/২৪ নং মামলা দায়ের করেন। কয়েকদিন পর সাতক্ষীরা সদরের যোগরাজপুর গ্রামের একটি পাটখেত থেকে লুট হওয়া মটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় ধোপাডাঙা গ্রামের মিজানুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ১৬৪ ধারার জবানবন্দি অনুযায়ি পুলিশ কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের আব্দুর জব্বার তরফদারের ছেলে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ইয়ার আলী তার ভাই বাহার আলী, একই এলাকার জিয়া, রহমান ওরফে সাইফুল ও আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে। সাতক্ষীরা সদরের যোগরাজপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পশুসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম মোস্তফার বাড়িতে গত ৯ মে দিবাগত রাত দুটোর দিকে ডাকাতির ঘটনায় পরদিন দায়েরকৃত জিআর-২৩০/২৪ নং মামলায় কারাগারে থাকা কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য রেজাউল ইসলামকে সুভাষ ঘোষের বাড়িতে ডাকাতির মামলায় গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঁচ দিনের রিমাÐ অবেদন জানানো হয়। রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা সদর, ডুমুরিয়াসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, হত্যা, ছিনতাই ও হত্যার চেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৩টি মামলা রয়েছে।
রিমাÐ শুনানীতে আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. তপন কুমার মজুমদার। রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড শুনানীতে অংশ নেন আদালতের উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান।
উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান আসামী রেজাউল ইসলামের তিন দিনের রিমাÐ মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা দেবহাটা থানার উপপরিদর্শক তাজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, রিমাÐ মঞ্জুর হওয়ার পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনি আসামী রেজাউল ইসলামকে আদালত থেকে থানা হেফাজতে নিয়ে এসেছেন।