সরিষা শাকের উপকারিতা
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
শীতে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি সরিষা শাকও পাওয়া যায়। এটি শীতকালীন খাবার। এটি ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ, উভয়ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এই শাক মেনোপজের সময়ের সমস্যাগুলো সহজ করতে এবং হৃদরোগের অবস্থার উন্নতি করতে সহায়তা করে।
চলুন জেনে নেয়া যাক সরিষা শাক খেলে আর কী কী উপকার পাওয়া যাবে-
১. ক্যালোরি কম থাকলেও ফাইবার এবং অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে সরিষা শাকে। বিশেষ করে ভিটামিন সি এবং কে-এর একটি চমৎকার উৎস এই শাক। ফলে সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত খান সরিষা শাক।
২. দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমায় সরিষা শাক। এতে প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। এই উদ্ভিদভিত্তিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো কোষের বার্ধক্য, পরিবেশ এবং জীবনযাত্রার আচরণ থেকে আমাদের শরীরে জমা হওয়া ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে সৃষ্ট স্ট্রেস এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ফলে ক্যানসারের মতো রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। সরিষার শাকে গ্লুকোসিনোলেটস পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা তিক্ত স্বাদ দেয় শাকে। গ্লুকোজ সিলেট ক্যান্সারের কোষের সাথে লড়াই করতে পারে এবং টিউমার গঠন প্রতিরোধ করতে পারে।
৩. ভিটামিন কে-এর অন্যতম উৎস বলা হয় সরিষা শাককে। এই ভিটামিন হাড় ও হৃৎপিণ্ডের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।
৪. মাত্র এক কাপ সরিষার শাক দৈনিক ভিটামিন সি চাহিদার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি পূরণ করতে পারে। শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমের জন্য অপরিহার্য এই ভিটামিন। পাশাপাশি সরিষার শাকে থাকা ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও কোষের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
৫. দেহের দূষিত পদার্থ দ্রুত বের করে দিতে সাহায্য করে সরিষা শাক।
৬. সরিষার শাকে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং বিটা ক্যারোটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৭. সরিষা শাকে থাকা ভিটামিন কে হাড় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে-এর অভাব হাড়ের খনিজে অস্বাভাবিকতা এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৮. সরিষার শাকে লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই দুই উপাদান দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য অপরিহার্য।
৮. লুটেইন মস্তিষ্কের টিস্যুকেও সচল রাখে।
১০. সরিষা শাকে থাকা পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, ফসফরাস, রিবোফ্লেভিন ও কপার সাহায্য করে রোগমুক্ত থাকতে।