দেবহাটায় কামরুল হত্যা মামলার স্বাক্ষীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন

রঘুনাথ খাঁঃ ভ‚মিহীন নেতা কমারুল ইসলাম হত্যা মামলার সাক্ষী রিয়াজুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালানো হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার নোড়ারচক গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে হত্যা মামলার আসামী পলগাদার শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তাকে তুলে আনা হয়।রিয়াজুল ইসলামের বাবার নাম আব্দুস সোবহান।নোড়ারচক গ্রামের আনোয়ারা খাতুন জানান, তার স্বামী রিয়াজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ভ‚মিহীনদের অধিকার আন্দোলনে কাজ করে যাচ্ছিল। ২০২১ সালে খলিষাখালিতে বসবাসরত ৭৮৫টি ভ‚মিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ, তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ সুপ্রিম কোর্টে নিঃস্বত্ব হওয়া ভ‚মিদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিলো। গত ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশে খলিষাখালির ১৩১৮ বিঘা জমির স্বত্ব হারানো আইডিয়ালের নির্বাহী পরিচালক ডাঃ নজরুল ইসলাম, কাজী গোলাম ওয়ারেশ, সখীপুরের আব্দুল আজিজ, ইকবাল মাসুদসহ শতাধিক ব্যক্তি কৌশলে ওই জমি নলতার চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, মাছ আনারুল, চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, নওয়াপাড়ার রেজাউল ইসলামসহ কয়েকজনের কাছে দখলী স্বত্ব হস্তান্তর করেন। এরপর থেকে খলিষাখালিতে বসবাসরত ভ‚মিহীনদের উপর দফায় দফায় হামলা শুরু হয়। একপর্যায়ে গত পহেলা নভেম্বর সকালে খলিষাখালির ভ‚মিহীন নেতা কামরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা করে ওই ভ‚মি দস্যুরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদি হয়ে ১০ নভেম্বর দেবহাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আজিজুর রহমান,মাছ আনারুল, গোলাম ফারুক বাবু, সিরাজুল ইসলাম, পলগাদার ইউসুফের চেলে শফিকুলসহ ২৩ জনের নামে মামলা করেন। এক মাস সাত দিনেও কোন আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একপর্যায়ে সোমবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে তার স্বামীকে পলগাদার ইউসুফের ছেলে কামরুল হত্যা মামলার আসামী শফিকুল, তার ভাই শহীদুল, তাদের সহযোগী পলগাদার মাজেদ শেখের ছেলে খোড়া শফি, পুটু, গুচ্ছগ্রামের সাঈদুল ঢালী, বাবু চেয়ারম্যানের জামাতা পারুলিয়ার রাজীব, চালতেতলার নূরালী, খলিষাখালির চরের বাবলু, আনিছুরসহ ৩০/৩৫ জন তুলে নিয়ে যায়। কেনারাম মÐলের দোকানের সামনে তাকে কয়েকদফায় মারপিট করে পারুলিয়া কাশেম পার্কের পাশে একটি ক্লাবে তাকে আটকে রেখে তার কাছে থাকা দুটি মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হযরত আলী জানান, জনতার মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দকৃত রিয়াজুলকে একটি মারপিটের মামলায় মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে।

 

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)