ভারতের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাটা পড়লে বিকল্প কি?
রাহাত রাজা:বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। তবে ভারতের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কে কোনো কারণে ভাটা পড়লে বাংলাদেশকে বিকল্প দেশ খুঁজতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে কোন কোন দেশ হতে পারে বাংলাদেশের সম্ভাব্য বাণিজ্যিক অংশীদার।চীন বিশ্বের বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশগুলোর একটি। বাংলাদেশ এরই মধ্যে চীনের সাথে শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি করেছে। কম খরচে কাঁচামাল ও প্রযুক্তি আমদানির জন্য চীন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প হতে পারে। (ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া)
এই অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক, কৃষিপণ্য এবং প্রযুক্তি খাতে যৌথ বিনিয়োগ হতে পারে।
ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগস্থল হওয়ায় তুরস্ক বাংলাদেশকে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বাজারে প্রবেশে সহায়তা করতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ (সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত):রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে কৃষিপণ্য, টেক্সটাইল এবং নির্মাণ সামগ্রীর ক্ষেত্রে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র:
বাংলাদেশ এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে জিএসপি সুবিধার আওতায় পণ্য রপ্তানি করছে। ভবিষ্যতে এই সুবিধা আরও প্রসারিত হতে পারে।
উদীয়মান বাজার হিসেবে আফ্রিকার দেশগুলোও বাংলাদেশের জন্য নতুন বাণিজ্যিক অংশীদার হতে পারে। কৃষি, তৈরি পোশাক এবং প্রযুক্তি খাতে রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।বিকল্প বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরিতে বাংলাদেশের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ, রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, বন্দর সুবিধার উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিশ্লেষণ জরুরি। একইসাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) সই করাও গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় বিকল্প বাজার খুঁজে প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। এতে দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।