শ্যামনগরে বিএনপি নেতার সাংবাদ সম্মেলন
রঘুনাথ খাঁঃ বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মনগড়া ও উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি’র শ্যামনগর উপজেলা শাখা। শনিবার দুপুর ২টায় উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকায় ৭ই ডিসেম্বর শ্যামনগর উপজেলা বি.এন.পি নেতা শহীদুজ্জামানের নেতৃত্বে গণচাঁদাবাজি, দখলবাজি ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগ শিরোনামে যে সাংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রনোদিত। তিনি ওই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানান। গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর থেকে উপজেলা বি.এন.পির সভাপতি হিসেবে তার নেতৃত্বে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাওয়ায় ভিন্ন মতলম্বীরা বিএনপির প্রগতিশীল কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত উপজেলা বিএনপিকে ধ্বংস করার পায়তারা ও চক্রান্ত করছে।
রমজাননগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদের নেতৃত্বে রমজাননগর ইউনিয়নের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের জানমাল রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছে। কাশিমাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার ঢালী ও আটুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির আবুল কালাম মোড়লের নেতৃত্বে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ,যুগ্ম সাধারণ এ্যাড আশেক এলাহি মুন্না, যুব বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল হক আপু,ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক খান আব্দুস সবুর,প্রচার সম্পাদক ইউপি সদস্য আজিবর রহমান,রমজাননগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোঃ শহিদুজ্জামান (শহিদ) সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মজিদ,কাশিমাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোঃ আজিজুল হক,সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডিএম মফিজুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ নাজমুল হক,যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজ আল আছাদ কল্লোল সহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা শহরের নারিকেলতলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজনু রহমানের গত ২৪ অক্টোবর সাতনদী সম্পাদক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সদর থানায় চাঁদাবাজির মামলা এবং গত পহেলা নভেম্বর দেবহাটার খলিষাখালির কামরুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামী হওয়ার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে থেকে তিনি আয়বদ্ধক লেখনী চালিয়ে যাচ্ছেন। যদি লাইগা যায়,তাতে মোটামুটি হয়।