শীতে আমলকী খেলে যেসব উপকার পাবেন
স্বাস্থ্য ও ডেস্ক:
শীতের এই সময়ে খুসখুসে কাশি, সুড়সুড়ে নাক কিংবা ভোরের দিকে গলাব্যথা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে অনেকের। আর ঋতু পরিবর্তনের সময় এমন হবেই। তার ওপর শীত পড়লে ত্বকের শুষ্কতা, মাথায় খুশকি, চুলপড়ার সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
শীতের সময় অনেকেই আবার মানসিক অবসাদে ভোগেন। জ্বর, সর্দি, শরীর ব্যথা আর বমিভাব তো লেগেই থাকে।
বর্তমানে রোগ মানেই কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধ। তারচেয়ে চলুন না শীতের শুরুতেই একটু সাবধানতা অবলম্বন করি। আর প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখি আমলকী।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আমলকীকে বলা হয় মহৌষধ। কাঁচা আমলকীর টুকরো, রস ও রোদে শুকানো আমলকী কিংবা আচার যদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকে, তাহলে শীতকালীন রোগবালাই থেকে আপনার মুক্তি মিলবে।
আমলকী কিংবা আচার যদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকে, তাহলে শীতকালীন নানা রোগবালাই থেকে মুক্তি মিলবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আমলকীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ১০০ গ্রাম আমলকীতে ৬০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে, যা কিনা আপেল, পেয়ারা, কমলা কিংবা আমের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। এ ছাড়া আমলকীর রসে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস।
আমলকীতে উপস্থিত ভিটামিন সি রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনা, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমা ইত্যাদি অসুখ আমলককী সেবনে ভালো হয়। এটি শরীর ঠান্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং পেশি মজবুত করে।
এ ছাড়া মানসিক অবসাদ দূর করে আমলকী। শরীরের পাশাপাশি আমলকী মনেরও যত্ন নেয়। এর পলিফেনলস ও ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান মানসিক চাপ কমায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি— যে অক্সিডেটিভ হরমোনের অত্যধিক ক্ষরণের জন্য মানসিক অবসাদ দেখা দেয়, আমলকী সেই হরমোন ক্ষরণে রাশ টানে।
আর ত্বক ও চুলের সমস্যার সমাধান আমলকী। শীতে ত্বক ও চুল উভয়েই শুষ্ক হয়ে যায়। দৈনিক আমলকী সেবনে ওই শুষ্কতা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। এটি খেলে চুলের গোড়া মজবুত হয়, খুশকি দূর হয়, চুল পড়া কমে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়।
এদিকে আমলকী পেটের যত্ন নেয়। আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এ ছাড়া এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে। দূর করে গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যাও।
এ ছাড়া চোখ ভালো রাখতে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে আমলকীর রস সাহায্য করে। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের যত্ন নেয়। ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কোলেস্টেরল লেভেল কমায়। প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে। আমলকীর স্বাদ মুখের রুচি ও স্বাদ বাড়ায়।