তালায় শিক্ষক কলিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে কাল্পনিক মামলা, ফুঁসে উঠেছে শুশীল সমাজ
তালা প্রতিনিধিঃ তালা থানায় ১৯৬ নং জেয়ালা নলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কলিমউদ্দীন সরদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা রেকর্ড করায় ফুঁসে উঠেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। যে কারণে শিক্ষকের নামে মামলা দায়ের হলো- গত সরকারের সময় যুব জামায়েত নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টুকে আওয়ামীলীগের মধ্যম সারির এক নেতা সকল বিষয়ে সহযোগিতা করতেন। এখন তার পরামর্শে গত ৪ ই আগস্ট তালা বাজারে ছাত্র জনতার আন্দোলনকে ভন্ডুল করার জন্য অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্য মহড়া দেছেন যারা তাদের ভিডিও ফুটেজ সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই মহড়ায় মুড়াকলিয়া গ্রামের সেচ্ছাসেবকলীগের ওয়ার্ড সভাপতি মোজাহার সরদার ও আওয়ামীলীগের সমর্থক আয়ুব আলী সরদার উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয়ের সহয়তা করার জন্য গত ৪ ই ডিসেম্বর ২০২৪ বিকাল তিনটায় তালা তহশীল অফিসের নায়েব মোঃ রবিউল ইসলাম নালীশি ভূমির দখল বিষয়ে তদন্তে যান। তদন্তস্থলে উক্ত আওয়ামীলীগের সদস্যদের পক্ষ হয়ে যুব জামায়েত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু উপস্থিত ছিলেন। এবং রাত ৮ টা থেকে রাত্র ১১ টা পর্যন্ত তালা থানায় প্রভাব বিস্তার করে আওয়ামীলীগের সদস্যদের জামায়েত সদস্য পরিচয় দিয়ে স্কুল শিক্ষক কলিম উদ্দীনের নামে মামলা রেকর্ড করাতে সক্ষম হয় মামলা নং -০৩ তারিখ ০৫/১২/২৪। ৪ তারিখ সকাল ৯ টায় ঘটনার সময় উল্লেখ করা হয়। উল্লেখিত মামলার ঘটনার তারিখ ও সময়ে শিক্ষক কলিম উদ্দীন স্কুলে পাঠদানরত অবস্থায় ছিলেন। অন্যায় ভাবে স্কুল শিক্ষকের নাম দিয়ে তালা থানায় মামলা রেকর্ড করায় প্রাথমিক শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমাজ, নাগরিক ঐক্য পরিষদ সহ শুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ইতিমধ্য উক্ত শিক্ষকের নামে মিথ্যা মামলা রেকর্ড হওয়ায় জেয়ালা নলতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষক শিক্ষর্থীরা মানববন্ধন করে শিক্ষকের নাম প্রত্যাহার ও মিথ্যা মামলা দায়ের এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
থানায় বসে মামলা রেকর্ড করানোর বিষয়ে জানতে চাইলে যুব জামায়েতের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু জানান, শুধু আমি নই। আব্দুল হাকিম মোড়ল সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।