তাইওয়ানকে ৩৮৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তাইওয়ানের কাছে আরো প্রায় ৩৮৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তের প্রশান্ত মহাসাগরীয় সফর শুরুর একদিন আগে শুক্রবার এই অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ও তাইপের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও মার্কিন আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার জন্য সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য। এই বিষয়টি চীনের ক্রমাগত ক্ষোভের কারণ। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে। তবে তাইওয়ান চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
সম্প্রতি চীন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক চাপ বৃদ্ধি করেছে। এরই মধ্যে চলতি বছর চীন তাইওয়ানকে ঘিরে বড় দুটি যুদ্ধ মহড়া চালিয়েছে।
একাধিক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট যখন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল মার্কিন নিয়ন্ত্রিত হাওয়াই ও গুয়াম সফর করবেন তখন চীন আবারও সামরিক মহড়া পরিচালনা করতে পারে।
শনিবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাইয়ের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি হাওয়াই ও গুয়ামে যাত্রা করার কথা রয়েছে। এরপর তিনি মার্শাল আইল্যান্ডস, টুভ্যালু ও পালাউ যাবেন। এই তিনটি দেশই তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
এদিকে মার্কিন সেনা সদর দফতর পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি জানিয়েছে, তাইওয়ানের কাছে যে পরিমাণ সামরিক সমরাস্ত্র বিক্রি করা হবে তার মধ্যে ৩২০ মিলিয়ন ডলারের বেশি যন্ত্রাংশ আছে, যা এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ও অ্যাকটিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে রাডারের কাজে লাগবে।
পেন্টাগন আরো জানিয়েছে, পররাষ্ট্র দফতর তাইওয়ানকে ৬৫ মিলিয়ন ডলারের উন্নত প্রযুক্তির সহজে বহনযোগ্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এই বিক্রির প্রধান ঠিকাদার হলো জেনারেল ডাইনামিকস।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আশা করছে যে, বিক্রির শর্তগুলো এক মাসের মধ্যে কার্যকর হবে এবং এসব যন্ত্রপাতি তাইওয়ানের বিমানবাহিনীকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরক্ষা শক্তি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, তাইওয়ান এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করবে এবং তাইওয়ান প্রণালি ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একসঙ্গে কাজ করবে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে সম্ভাব্য ২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্যাকেজ ঘোষণা করে। যার মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউক্রেন যুদ্ধ পরীক্ষিত একটি উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তাইওয়ানকে সরবরাহ করা হবে।