পেনাল্টি নিতে ভুলে গেলেন কিলিয়ান এমবাপে!
স্পোর্টস ডেস্ক:
কিলিয়ান এমবাপের বাজে ফর্মের কারণে আরো একবার ভুগতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেনাল্টিতে ব্যর্থ হলেন আবারো তিনি। এতেই ঝড় উঠেছে সমালোচনার। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠেছে রিয়ালের এই ফরাসি তারকা কী পেনাল্টি নিতে ভয় পাচ্ছিলেন, নাকি নিজের উপর আত্মবিশ্বাস অভাব।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বেশেষ ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেছিলেন এমবাপে। গেল ২৮ নভেম্বরের ওই ম্যাচে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
চোটের কারণে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র না থাকায় রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম পেনাল্টি টেকার এখন এমবাপেই। কিন্তু তারপরও গত শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লা লিগার ম্যাচে গেতাফের বিপক্ষে পেনাল্টি পেলে তা নিজে না নিয়ে জুড বেলিংহ্যামকে দেন এই ফরাসি। ম্যাচ তখন গোলশূন্য সমতায় ছিল।
তাতেই আলোচনা হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে। কারণ এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পর পেনাল্টি পেয়েছিল রিয়াল। যা থেকে গোল আদায় করতে পারেননি এমবাপে। শেষ পর্যন্ত সেদিন হেরেই যায় রিয়াল। তখন গোলটি করতে পারলে হয়তো ভিন্ন ফলও হতে পারতো। ম্যাচশেষে ড্রেসিংরুমে তাকে বিধ্বস্ত অবস্থাতেই দেখা গিয়েছিল।
অ্যাথলেতিক বিলবাওর বিপক্ষে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে সেই প্রসঙ্গ। তবে শিষ্যের পক্ষে ঢাল ধরে কোচ আনচেলত্তি বলেন, এখানে বিতর্কের কিছু নেই। এর দুটি দিক রয়েছে। গেতাফের বিপক্ষে এমবাপে যা করেছে, আপনি এটিকে তার জড়তা হিসাবে দেখতে পারেন, অথবা আপনি এটিকে আমাদের মতো দেখতে পারেন, যা হল দায়িত্ব।
‘এটা দলগত স্বার্থ এগিয়ে রাখার মত একটি কাজ। সে অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন একজন খেলোয়াড়। সে হয়ত ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিভা হতে পারে, তবে ব্যক্তিগতভাবে দলকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, আমি এটাকে অনেক মূল্যবান বলে মনে করি,’ যোগ করেন এই ইতালিয়ান কোচ।
নিজের সামর্থ্যের প্রতি বিশ্বাসের ঘাটতি কি-না জানতে চাইলে আবারো এই কোচ বলেন, আমি ব্যাপারটা সেভাবে দেখি না। ড্রেসিংরুমে এটা দলের জন্যই, তার সতীর্থদের জন্য, আমাদের সবার জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যেমনটা আগেই বলেছি, আমরা তার এই কাজের মূল্য দিই। দলের প্রতি নিবেদনের এটা একটা দুর্দান্ত নজির।
চলতি মৌসুমের শুরুতে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর এখনও সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না এমবাপে। যদিও নিজের পছন্দের পজিশনে খেলতে পারছেন না। এখন পর্যন্ত ১০টি গোল এসেছে তার কাছ থেকে।