চিন্ময় কৃষ্ণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ইস্যুতে সরগরম ভারত-বাংলাদেশ। এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এর জেরে দুই দেশের মধ্যে দেখা দিয়েছে টানাপোড়েন সম্পর্কের। এবার চিন্ময় ইস্যু নীরবতা ভাঙলো মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
দফতরটির উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, অপরাধে অভিযুক্তদেরও উপযুক্ত আইনি সুযোগ দিতে হবে। সেই সঙ্গে মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার বজায় রেখে আচরণ করা প্রয়োজন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিয়মিত এ প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন বেদান্ত প্যাটেল। এক প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, যেসব দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে, তাদের প্রতিটি সরকারের সঙ্গে আমরা সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করি। আমরা বার বার স্পষ্ট করেছি, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার।
তিনি আরো বলেন, যেকোনো ধরনের প্রতিবাদও শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত এবং যে কোনো ধরনের ক্র্যাকডাউন– এমনকি, ক্র্যাকডাউন না হলেও –সব দেশের সরকারকে আইনের শাসনকে সম্মান করতে হবে। আর তার অংশ হিসেবে মৌলিক মানবাধিকারকেও সম্মান করতে হবে। আর এ বিষয়ে আমরা জোর দেওয়া অব্যাহত রাখবো।
পরে ঐ সাংবাদিক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের প্রসঙ্গে বলেন, চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশে ইসকনের নেতা। অন্যদিকে, ইউএস ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রস্তাবিত পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডও ইসকন সদস্য। চিন্ময় দাসকে ‘বেআইনিভাবে’ গ্রেফতার করা হয়েছে, কারাগারে রাখা হয়েছে। এমনকি, বাংলাদেশের কোনো আইনজীবী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে দাঁড়াতে রাজি নন, কারণ তার আইনজীবীকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আপনারা কি কোনো ব্যবস্থা নেবেন?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমার কাছে এ মামলার বিস্তারিত তথ্য নেই। কিন্তু আবারও বলবো, আমরা জোর দিয়ে যাচ্ছি, যারা অপরাধে অভিযুক্ত তাদেরও উপযুক্ত আইনি প্রতিনিধিত্ব করতে দিতে হবে ও মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদ্রোহসহ একাধিক মামলায় ২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।