কুখরালীতে একটি পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রাণীর অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: কুখরালীতে এক পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রাণীর অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ করেছেন হয়রাণীর স্বীকার হওয়া শহরের কুখরালী মাঝেরপাড়া এলাকার মৃত ইসমাইলের ছেলে সামছুর রহমান ও তার পরিবার। তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, পৈত্রিকভাবে আমরা ৫ভাই, বোন ও মাতা সর্বমোট ৩০শতক সম্পত্তি পেয়েছি। ওই সম্পত্তি আমরা সকলে তাদের অংশ বুঝে নেই। বড় ভাই নজরুল ইসলামের হঠাৎ মৃত্যুর পর বড় ভাবী সুফিয়া খাতুন জানতে পারে সকল কাগজ ঠিক থাকলেও বর্তমান হাল ম্যাপে জমি ২শতক কম আছে। এখানেই বাধে বিপত্তি। ২শতক জমি কম দাবী করে সেই থেকে ভাবী আমাদের উপর একের পর এক মামলা দিতে থাকে। ২টি মামলায় আমরা রায় পেলে বড় ভাবী ক্ষিপ্ত হয়ে এবার মিথ্যা নাটক তৈরি করে সাতক্ষীরা আমলী ১নং আদালতে মারপিটের মামলা দেয়। যার মামলা নং সিআর ২১৯ সাতক্ষীরা। মামলায় আমার বড় ভাবী সবাইকে ম্যানেজ করে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট জোগাড় করে। এমনকি মামলার তদন্ত দাখিলকারী সাব-ইন্সপেক্টরকেও সে ম্যানেজ করে। তিনি আরো বলেন, ওই মামলার স্বাক্ষী করা হয়েছে আমার ভাইয়ের ছেলে রায়হান, জামাই আব্দুল মুজিদ, মেয়ে নাসরিন আক্তার, ছেলের শ^শুড় আশাশুনি উপজেলার বুধহাটার রজব আলী সানা ও মেয়ের ননদ ইটাগাছা এলাকার নুরুন্নাহারকে। সব কিছুই তাদের সুপরিকল্পিত একটি মিথ্যা নাটক মাত্র। এব্যাপারে নাম প্রকাশ না করে শহরের কুখরালী মাঝেরপাড়া এলাকার কয়েকজন নারী বলেন, সুফিয়া খাতুন তার দেবরের পরিবারের সাথে মূখ বলাবলি হয়। কিন্তু কোন মারপিটের ঘটনা সেখানে ঘটেনি। তারপরও বিনা কারণে মিথ্যা ভাবে এ ধরণের একটি মামলা সে কিভাবে দিল তা আমি বোধগম্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, সুফিয়া খাতুনের স্বামীর মৃত্যুও পর সে বেপরোয়া হয়ে গেছে। এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন সামছুর রহমান সহ তার পরিবার। এব্যাপারে মামলার তদন্ত দাখিলকারী সাইদুজ্জামানের বক্তব্য নিতে তার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা সাড়া না পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।