ব্যাংক মানেজারের কান্ড:সাতক্ষীরায় যৌতুকের ১৫ লাখ না পেয়ে স্ত্রীকে তালাক
রঘুনাথ খাঁ:
যৌতুকের দাবীকৃত ১৫ লাখ টাকা না পেয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের নড়াইল জেলার নলদী শাখা ব্যাবস্থাপক ও সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার আশিকুড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মাহামুদুল হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে তালাকনামা পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।
কালিগঞ্জ উপজেলার আমিয়ান গ্রামের নুর ইসলাম জানান,২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের আশিকুড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মাহামুদুল হাসানের সঙ্গে দেখাশুনা করে দুই লাখ টাকা কাবিনে তার মেয়ে আসমাউল হুসনার বিয়ে দেন। জামাতর চাকরির জন্য চার লাখ টাকা,মটর সাইকেল বাবদ দুইলাখ টাকা ও আসবাবপত্র বাবদ আরো দুই লাখ টাকা যৌতুক দিতে হয়।
গত ১৬ আগস্ট মাহমুদুল হাসান তার স্ত্রীকে ১৫ লাখ টাকা আনার জন্য নড়াইল থেকে বাপের বাড়িতে রেখে যান। এরপর মাহমুদুল হাসান বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে টাকা চাওয়া শুরু করেন। টাকা দিতে অপারগতা করায় তিনি একই এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুস সাত্তারের শরনাপন্ন হন। গত ২৪ অক্টোবর পিপি সাহেবের বাসায় উভয়পক্ষকে নিয়ে বসাবসির কথা থাকলেও মাহামুদুল হাসান আসেননি। এরপরও তার মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত করতো।
নূর ইসলাম আরো জানান, যৌতুকের ১৫ লাখ টাকা না পেয়ে গত ২৭ অক্টোবর তার মেয়েকে শ্বশুর নজরুল ইসলাম, শ্বাশুড়ি মাহফুজা খাতুন ও মামা শ্বশুর মাহমুদের সহযোগীতায় স্বামী মাহমুদুল হাসান এলোপাতাড়ি ভাবে চড়, কিল, ঘুষি মেরে আহত করে। পরে তাকে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় তার মেয়ে বাদি হয়ে জামাতাসহ চারজনের নামে গত তিন নভেম্বর আদালতে মামলা করে। মাহমুদুল হাসান তার মামা (পুলিশ সদস্য) মাহমুদের মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে মীমাংসা করে নেওয়ার কথা বলেন।
এ ব্যাপারে গৃহবধুর মামা শ্বশুর মাহমুদের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার করেন।গৃহবধুর স্বামী মাহমুদুল হাসান তালাকনামা পাঠানোর কথা স্বীকার করলেও আর কোন কথা না বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।আসমাউল হুসনা বলেন, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।