ডেঙ্গু জ্বর সারানোর ঘরোয়া উপায়

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক:

এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় একটি রোগ হলো ডেঙ্গু। এতে আক্রান্ত হলে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, ক্লান্তি, জয়েন্টে ব্যথা, ত্বকে ফুসকুড়ি, বমি বমি ভাব ও বমির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসা না নিলে তা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের প্রথমদিকে কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার মেনে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন উপসর্গগুলো। জেনে নিন তেমনই কিছু প্রতিকার সম্পর্কে, যা আপনাকে ডেঙ্গু ও এর জটিলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে-

পেঁপে পাতার রস: ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে প্লেটলেটের পরিমাণ কমে যায়, এক্ষেত্রে পেঁপে পাতার রস প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে দুর্দান্ত কাজ করে। পেঁপে পাতার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যা ডেঙ্গুর চিকিৎসায়ও সাহায্য করে। এজন্য কয়েকটি পেঁপে পাতা নিন ও পিষে এর থেকে রস বের করুন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দু’বার অল্প পরিমাণে পেঁপে পাতার রস খেতে পারেন।

তাজা পেয়ারার রস: পেয়ারার রস একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসার আপনার খাদ্যতালিকায় তাজা পেয়ারার রস যোগ করতে পারেন। পেয়ারার রস আপনাকে অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতাও দেবে। এক কাপ পেয়ারার রস দিনে দু’বার পান করুন। জুসের বদলে তাজা পেয়ারাও খেতে পারেন।

মেথি বীজ: মেথি বীজ একাধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ, যা ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এক কাপ গরম পানিতে কিছু মেথির বীজ ভিজিয়ে রাখতে পারেন। পানি ঠান্ডা করে দিনে দু’বার পান করুন। ভিটামিন সি, কে ও ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় মেথির পানি আপনাকে অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতাও প্রদান করবে। মেথির পানি জ্বর কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবেন যেভাবে

আপনার ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ হবে দ্রুত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে ডেঙ্গুর প্রাথমিক উপসর্গ থেকেও সহজে নিস্তার মেলে। এজন্য এ সময় অবশ্যই ডায়েটে সাইট্রাস জাতীয় খাবার, রসুন, বাদাম, হলুদ ও আরও অনেক কিছু যোগ করতে হবে।

যদি কেউ ডেঙ্গুর কিছু উপসর্গ লক্ষ্য করেন তাহলে দ্রুত পরীক্ষা করুন ও চিকিৎসা সহায়তা নিন। এর পাশাপাশি এই প্রতিকারগুলোও আপনাকে কার্যকরভাবে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। তবে খুব বেশি দিন ঘরোয়া প্রতিকারের উপর নির্ভর করবেন না। তার চেয়ে বরং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।

সূত্র: এনডিটিভি হেলথ

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)