কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ছাত্রদলের নেতার রাতের আঁধারে ক্ষমা প্রার্থনা

রঘুনাথ খাঁ, ঃ গত ১৭ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হককে বাঁশতলা বাজারে পিটিয়ে জখম করে কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় রাতের আঁধারে বাড়িতে যেয়ে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদল নেতা ও মানবাধিকার কর্মী মোসলেম হত্যা মামলার এজাহার ও চার্জশীটভুক্ত আসামী জাফর ইকবাল বাবু। শনিবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কয়েকজনকে নিয়ে নূুরুল হকের বাড়িতে যেয়ে ক্ষমা চান ওই নেতা।
বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়পত্রকাটি গ্রামের নুরুল হক সরদার বলেন,গত ১৭ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিষ্ণুপুরের সামাদের ছেলে ফিরোজ ও মুকুন্দমধুসুধনপুরের রুহুল আমিনের ছেলে জাফর ইকবাল বাবুসহ ১২/১৪জন কয়েকটি মটর সাইকেলে বিষ্ণুপুর থেকে বাঁশতলা বাজারে আসে। প্রথমে তারা তাদের হাতে থাকা কোদালের আছাড় জাতীয় লাঠি দিয়ে নদীর ধারের ব্যবসায়ি তারিকুলকে মারপিট করে। পরে তারা নীলকণ্ঠপুরের ব্যবসায়ি মোস্তাফিজকে পিটিয়ে জখম করে। বাঁশতলা বাজারে নিজের চাচাত ভাই রফিকুলের ভুষির দোকানে বসে থাকাকালিন তার হাত থেকে দুটি মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় মেরে ভেঙে ফেলে ফিরোজ। পরে তাকে কোদালের আছাড় জাতীয় লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে রুহুল আমিনের ছেলে জাফর ইকবাল বাবু তাকে মারতে মারতে কান ধরে উঠবস করায়। একপর্যায়ে তাকে কান ধরে ভ্যানে তুলে দিয়ে বাড়িতে যেতে বলে। এমনকি তাকে বাঁশতলা বাজারে আসতে মানা করে তারা।
নুরুল হক আরো জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন তার বাড়িতে এসে তাকে ডাকেন। তিনি ইচ্ছা না থাকার পরও দরজা খোলেন। এ সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা কয়েকজনের মধ্যে জাফর ইকবাল বাবু তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যাহা সকলের সামনে সম্মান নষ্ট করে রাতের আঁধারে মুচির পায়ে ধরার শামিল।
তবে বাঁশতলা বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ি জানান, নুরুল হককে লাঞ্ছিত করা ছাড়াও বাবু বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৭ নভেম্বর বাঁশতলা বাজারে নীলকণ্ঠপুরের ব্যবসায়ি শুভ সরদার, ব্যববসায়ি মোস্তাফিজুর রহমান, নৌবাসপুরের তরিকুল ইসলাম, বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের অফিস সহকারি রাধেশ্যাম সরদারকে পিটিয়ে জখম, মানবাধিকার কর্মী মোসলেম আলীর ভাগ্নে ও তাকে হত্যা মামলার সাক্ষী চাঁচাই গ্রামের দেদারকে পিটিয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে যাওয়া, মুকুন্দমধুসুধনপুরের বিকাশ সরকার, চাঁচাই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে হাবিবুর রহমানকে মেয়ে বুকের তিনটি হাড় ভেঙে দেওয়ার অীভযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ওই বাহিনীর বিরুদ্ধে গত ৬ আগষ্ঠ ফরিদপুরে অলিয়ার রহমানের ঘের লুটপাট, ৯ আগষ্ট মুকুন্দ মধুসুধনপুরের নীলু সরকার ও ফটিক সরকারের বাড়িতে হামলা করে বিচারাধীন মামলা তুলে নিতে বাধ্য করে ২০ শতক জায়গা দখল একই দিনে চৌমুহুনীর ফল ব্যবসায়ি আনারুলের দোকান লুটপাট ও ভাংচুর, ১৩ আগষ্ট মানবাধিকার কর্মী মোসলেম আলীর ছেলে জাকির হোসেনকে বিষ্ণুপুর বাজারে মারপিট, ২৮ অক্টোবর মুকুন্দ মধুসুধনপুর গ্রামের আবু তালেব সরদারকে বাড়িতে ঢুকে মারপিটের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে রয়েছে এলাকায় ক্ষোভও।নুরুল হক এর বাড়িতে যেয়ে ক্ষমা চাওয়া ও বেশ কয়েকজন লোককে তার নেতৃত্বে হামলার ব্যপারে জাফর ইকবাল বাবু’র সাথে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)