খাজরায় একটি গার্ডার ব্রিজ ও সড়ক নির্মানে বদলে যেতে পারে পুরো গ্রাম
জি এম মুজিবুর রহমান ঃ আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড গজুয়াকাটি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার মানুষ একটি ব্রীজের কারনে চরম ভাবে বিপাকে রয়েছে।
গ্রামে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজসহ বিভিন্ন সেক্টরে চাকুরিত বাসিন্দারা দেশ ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করছেন বা করছেন। গ্রামের মানুষের যযাতয়াতের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ন একটি গার্ডার ব্রিজ ও রাস্তা নির্মান করা। গার্ডার ব্রিজ ও সড়ক নির্মান হলে পুরো গ্রামের দৃশ্যপট বদলে যাওয়া সম্ভব বলে গ্রামবাসীরা মনে করেন। গজুয়াকাটি প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন বাশের জরাজীর্ন সাকো পার হয়ে প্রতিদিন গজুয়াকাটি, ফটিকখালী থেকে বড়দল ইউনিয়নে ও বড়দল ইউনিয়নের পাঁচপোতা থেকে গজুয়াকাটি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ জীবনের ঝুকি নিয়ে পার হয়ে দৈনিন্দ কাজে যাযওয়া আসা করে থাকে। এছাড়াও গজুয়াকাটি গ্রামের শিক্ষক, কর্মচারী, সাধারন শিক্ষার্থীরাও এই বাঁশের সাঁকো পার হয়ে গন্তব্যস্থলে যাতয়াত করে থাকেন। কিন্তু গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সড়কটির বেহাল দশা দীর্ঘ দিনের। রাস্তার কিছু অংশে ইটের সোলিং আবার কিছু ছোট কাঁচা রাস্তা। বর্ষা মৌসুমে রাস্তার অনেক অংশ তলিয়ে যায়। ফলে এক দিকে জরাজীর্ন বাঁশের সাঁকো, অন্য দিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা সব মিলে গ্রামের বাসিন্দাদের কষ্টের শেষ নেই।
পিরোজপুর সরকারি প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক রাহুল দেব মন্ডল জানান, আমাদের গ্রামে উন্নত মানের পাকা রাস্তা না থাকায় বর্ষাকালে নিজেদের কর্মস্থলে যেতে খুবই কষ্ট হয়। এমনকি বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা নেওয়ার জন্য তিন চাকার ভ্যান পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারি না। সব চেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় কেউ অসুস্থ হলে তাকে মেইন রাস্তা পর্যন্ত আনতে। আমরা এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।
২০২০ সালে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এই বাঁশের সাঁকোর সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের কিছুটা হলেও ঘুম ভাঙে। পিআইও অফিস সূত্রে জানাগেছে, ২০২১ সালের আগষ্ট মাসে গজুয়াকাটিতে একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মানরে জন্য মাপ—জরিপ, প্রি-ওয়ার্ক সম্পন্ন হওয়ার পরে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু মহামারী করোনার কারনে টেন্ডার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান জানান, গজুয়াকাটিতে গার্ডার ব্রিজ নির্মান হবে। প্রকল্পটির শুরুর কাজ চলমান আছে। চলতি বছর খালের পানি কমার সাথে সাথে কাজ শুরু হবে। আশাকরি কাজটি দ্রুত শুরুর মাধ্যমে এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘব হবে।