আনুলিয়ার বহুরুপী জালালের ষড়যন্ত্রের প্রতিকারে বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলন
জি এম মুজিবুর রহমান ঃ আশাশুনি উপজেলা বিএনপি আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় বহুরুপী শেখ জালাল ও তার চক্র কর্তৃক নামে বেনামে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করে প্রশাসনের কানভারি ও সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টির প্রতিবাদ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। বৃহস্পতিবার (২১নভেম্বর) বেলা ১২টায় আশাশুনি প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, আনুলিয়া ইউপি’র বর্তমান চেয়ারম্যার রুহুল কুদ্দুস উপজেলা বিএনপি’র একজন সদস্য। তিনি ইতি পূর্বে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের শাসন আমলে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বিএনপি ছাত্র সংগঠন তথা ছাত্র দলের সভাপতি, কখনও উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক, কখনও বিএনপি’র আহবায়ক এবং জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। তার সহধর্মীনি মিসেস জাহানারা বেগম শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা দলের সহ-সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত ১৭বছরে বিএনপি নেতা চেয়ারম্যার রুহুল কুদ্দুস এর নামে ৬৮টি মিথ্যা গায়েবী মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের নেতাকর্মীরা। এছাড়া রুহুল কুদ্দুস এর ছেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে খুলনা বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির মধ্যেও ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি সদস্য রুহুল কুদ্দুস আনুলিয়ার মাটি মানুষের ভালবাসায় নৌকাকে পরাজিত করে জয়লাভ করেন। আগামী দিনে বিএনপি’র পক্ষ থেকে কোন বড় পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে আমরা আশাবাদী। হেদায়েতুল ইসলাম দুঃখের সাথে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের একটি চক্র জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নামধারী সদস্য, হুন্ডি ব্যবসায়ী, নারী পাচারকারী, টক্কর সাপ ব্যবসায়ী, কালো টাকার মালিক শেখ জালাল স্থানীয় একটি রাজনৈতিক শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে রুহুল কুদ্দুস ও তার পরিবারকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। গত ৫আগষ্টের পর আনুলিয়া ইউনিয়নের কোথাও কোন খুন, যখম, রাহাজানি, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কোন অত্যাচার-নির্যাতন হয়নি। উপরন্তু চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আনুলিয়া ইউনিয়নকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছিলেন। এত নিরাপত্তার মধ্যেও আনুলিয়া ইউনিয়নকে অশান্ত করতে শেখ জালাল টুকিটাকি বিছিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে। যা কঠোর হস্তে দমন করা হয়েছে।একাধিক পরিচয়পত্রের ছবি প্রদর্শন করে তিনি বলেন, সম্প্রতি জালাল বিএনপিতে গা ঘেষার চেষ্টা করলে চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস তার বিরোধীতা করে। এরপর থেকে শেখ জালাল উদ্দীন এলাকার বাইরে পলাতক থেকে চক্রান্তকারীদের নিয়ে কালো টাকার ক্ষমতায় চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ও তার পরিবারের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে নামে—বে-নামে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিচ্ছে। এভাবে রুহুল কুদ্দুসের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্র করছে দাবী করে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া কখনও মোঃ সাজিদুল ইসলাম নামে আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা, কখনও মোঃ জালাল হোসেন শেখ নামে খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোগ—কালিকাবাটি এলাকার বাসিন্দা, আবার কখনও মোঃ সাজিদুল ইসলাম নামে ঢাকা মিরপুর এলাকার বাসিন্দা বলে তার নামে একাধিক পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। বর্তমানে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এই জালাল চক্রের অর্থে চেয়ারম্যার রুহুল কুদ্দুস, তার ছেলে শুভ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিক বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সহ চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস এর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিমন্ডলেরর সফলতা কামনা করেন। এসময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মশিউল হুদা তুহিন, যুগ্ম আহবায়ক শেখ আঃ রশিদ, শওকত হোসেন, আব্দুল আলিম, রবিউল আউয়াল ছোট, তুহিন উল্লাহ তুহিন, আজহারুল ইসলাম মন্টু সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।