সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বাড়ি ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মনোয়ারা বিবির বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে বাড়ি থেকে বাহির করে তা দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৮নভেম্বর) বিকালে শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মনোয়ারা খাতুন শ্যামনগর থানায় এজাহার দায়ের করেন।এজাহার সূত্রে জানা যায়, আমি মোছাঃ মনোয়ারা বিবি ,স্বামী মোঃ ইসলাম গাজী সাং-বংশীপুর। আসামী ১। মোঃ সালাম গাজী, পিতাঃ মৃত্যু আরশাদ গাজী, ২। নুরুজ্জামান,পিতাঃ জামসেদ গাজী উভয় সাং বংশীপুর। ৩। ছাদ্দাম হোসেন পিতাঃ মৃত্যু আনছার আলী, ৪। সাঈদ গাজী পিতাঃ মোঃ গোলাপ আলী, উভয় সাং- সোনার মোড়। ৫। জামসেদ গাজী পিতাঃ মৃত্যু নিজাম গাজী সাং- বংশীপুর। ৬। মোঃ গোলাপ আলী পিতাঃ মৃত্যু নবাব্দী গাজী। ৭।মোছাঃ আসমা খাতুন ফুটি পিতাঃ আনসার আলী,৮। তাসলিমা বেগম স্বামীঃ গোলাপ আলী সর্ব সাং- সোনার মোড়,সর্ব থানা শ্যামনগর, জেলা সাতক্ষীরা সহ অজ্ঞতনামা ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার করছি যে আসামীগন অবৈধ্য দখলদার দুর্দান্ত ও দুর্ধর্ষ প্রকৃতির পরস্পর একদলিও ও আমার শরীক সম্পকিয় লোক।১নং আসামী সালাম গাজী আমার দেবর হয়। সে সবসময় আমার ও আমার স্বামীকে আমাদের ভোগদখলিয় বসদভিটা বাড়ী হতে বিতাড়িত ও উচ্ছেদ করার জন্য ২ হতে ৮ নং আসমী এবং অজ্ঞতনামা ৫-৭ জন পূর্বপরিকল্পনা করে আমাদের বসদভিটা থেকে উচ্ছেদে পায়তার ও বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতী করে আসতেছে। আমার শশুর আরশাদ আলী গাজী বাধ্যর্কজনিত কারণে ইংরেজী ১৮-১১-২০২৪ তারিখ মৃত্যু বরণ করে। পরবর্তী জোহরের নামাজের পর আমার শশুরের দাফন সম্পন্ন হয়। এমতাবস্থায় আসামীগণ তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ি ইং ১৮-১১-২০২৪ তারিখ আনুমানিক বিকাল ৩ ঘটিকার সময় হাতে দা-লাঠি, লোহার রড, হাতুড়ী ইত্যাদি মারাত্বক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বসদ বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে বিভিন্ন প্রকার খুন জখমের ভয়ভিতী দেখায় এবং বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য তাদের হাতে থাকা অস্ত্র উচিয়ে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এসময় আমি প্রতিবাদ করলে আসামীগণ আমার উপর মারপিট শুরু কওে এতে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। আমি তখন চিৎকার করতে থাকি তখন ১নং আসামীর হুকুমে ধারালো দা দিয়ে মাথার বাম পাশে, বাম চোয়ালে লেগে মারাত্বক হাড় কাটাঁ গুরুতর জখম করে যাহা (৫টি সেলাই যুক্ত)। আসামীগণ সুযোগ বুঝে আমার গলায় থাকা ৮আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন যার মূল্য অনুমান ৫৫ হাজার টাকা। আমার শশুরের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমার বাড়ি আসা আমার ভাই হাবিবুল্লা ও বোন হাজেরা বিবি তাদের উপর হামলা চালায় এবং আমার ভাইয়ের ডান পকেটে থেকে ৭২০০টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাদের ঠেকাতে গেলে আমার বোনের স্বামী মুজিবর গাজী সাং দক্ষীন পলাশপোল তাকেও মারধর করে আহত করে। ৭ নং আসমী আমার মেয়ের গলায় থাকা মাছুরা বেগম স্বামীঃ মনিরুল গাজী সাং দক্ষীন পলাশপোল, আমার বাড়িতে মারমারির ঘটনায় আমাদের বাচাঁতে আসলে মেয়ের গলায় স্বর্ণের চেইন টেনে ছিঁড়ে নেয়।অতপর সকল আসামীগণ তাদের রাজত্ব কায়েম করার জন্য আমার রান্নঘর ভাংচুর করছে এবং আমার বসতঘরের মধ্যে পবেশ করে ঘরের ভিতরে টিভি, ফ্রিজ, শোকেজ, বাক্স সহ মুল্যবান আসবাসপত্র ভাংচুর করে অনুমান ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার এস আই মালেক জানান, ২নং আসামী নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে, অন্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।