আগামী ১০ বছরে চীনের জনসংখ্যা কমবে ৫ কোটিরও বেশি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত কয়েক বছর ধরেই চীনের জন্মহার ক্রমশ কমছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১০ বছরের মধ্যে চীনের জনসংখ্যা ৫ কোটি ১০ লাখ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ব্লুমবার্গের গবেষকেরা বলছেন, ২০২৫ সাল নাগাদ চীনের জনসংখ্যা ১৩৬ কোটিতে নেমে আসতে পারে। এখন চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটির মতো রয়েছে।
ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষক অ্যাডা লি বলেন, চলতি বছরটি জন্মহারের জন্য শুভ হওয়ায় এ বছর শিশু জন্মের সংখ্যা অস্থায়ীভাবে বাড়তে পারে। তবে জন্মহারের গত এক বছরের উত্থান অল্প সময় স্থায়ী ছিল। ফলে চলতি বছরের জন্মহার বাড়ার বিষয়টিও স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ চলতি বছরে বিবাহের হার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
চীনের ক্রমহ্রাসমান জন্মহারের কারণে জনসংখ্যা সঙ্কটের মুখে পড়েছে দেশটি। জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে, ২১০০ সালের মধ্যে চীনের জনসংখ্যা বর্তমানের চেয়ে অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।
বিধি-নিষেধমূলক পরিবার গঠন নীতি, ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় এবং পরিবর্তনশীল সামাজিক নিয়ম-কানুনের কারণে গত কয়েক দশক ধরেই চীনের নারীদের মধ্যে সন্তান জন্মদানে অনিহা তৈরি হয়েছে। ফলে বেড়ে গেছে বয়স্ক জনসংখ্যা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কর্মশক্তি কমে যাওয়া। সবমিলিয়ে চীনের অর্থনীতি, পেনশনব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর ওপর বিপুল চাপ তৈরি হয়েছে।
অ্যাডা লি বলেছেন, ‘নীতিনির্ধারকরা সম্ভবত সংস্কারের গতি বাড়াতে পারেন, এর মধ্যে প্রজনন ও শিশু স্বাস্থ্য-পরিষেবা উন্নত করা এবং শিশুদের লালন-পালন সাশ্রয়ী করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।’
সম্প্রতি চীন তাদের সন্তান জন্মদান নীতির আমূর পরিবর্তন করেছে। ২০১৬ সালে এক সন্তান নীতি থেকে বের হয়ে দুই সন্তান নীতি গ্রহণ করেছে চীন। এরপর ২০২১ সাল থেকে তিন সন্তান নেওয়ার প্রচার শুরু করেছে।
সন্তান গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য চীন সরকার নগদ অর্থ, বর্ধিত মাতৃত্বকালীন ও পিতৃত্বকালীন ছুটিসহ বিভিন্ন প্রণোদনা চালু করেছে।