১৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত জামিনে থাকা এ্যাড. আব্দুস সাত্তার সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি নিয়োগ আদালতে সমলোচনার ঝড়
বিশেষ প্রতিনিধি : তিন মামলার ১৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত জামিনপ্রাপ্ত আসামী এ্যাড. আব্দুস সাত্তার সাতক্ষীরা জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিয়োগ পাওয়ায় ব্যাপক সমলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিচারঙ্গনে সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামী পিপি নিয়োগ পাওয়ায় চরমক্ষুব্দ হয়েছে জেলা অধিকাংশ আইনজীবীরা।
অভিযোগ উঠেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাতক্ষীরাসহ দেশের জেলা জজ আদালতের সরকারী পাবলিক প্রসিকিউর (পিপি)আদালতে আসা বন্দ করে দেয়। এর ফলে আদালতে বিচার কার্যক্রমে কিছুটা ছন্দপতন হয়। এর প্রেরিক্ষিতে গত ২৯ অক্টোবার সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে জিপি-পিপি নিয়োগসহ অন্যান্য আদালতে সরকারী আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেন মন্ত্রনালয়। আইন বিচার ও সংসদ বিষায়ক মন্ত্রনালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ সলিসিটর অনুবিভাগ(জিপি-পিপি শাখা) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন ঢাকা, স্মারক নং সলিসিটর/জিপি-পিপি (সাতক্ষীরা)-৪৬/২০২৪(অংশ-১)-১৫৫, নং স্মারক মুলে উপ-সলিসিটর(জিপি-পিপি) সানা মো: মাহ্রুফ হোসাইন এক প্রাজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করেন। বিষয়টি আদালত পাড়ায় ছড়িয়ে পড়লে আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সাতক্ষীরা আদালতের এ্যড. বিএম মিজানুর রহমান পিন্টু অভিযোগ করেন, একজন ১৮ বছরের সাজাপ্রপ্ত আসামী জামিনে থাকা এ্যাড.মো: আব্দুস সাত্তারকে জেলা জজ আদালতের সরকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিয়োগ দেয়া ঠিক হয়নি। তিনি বলেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামসহ বিএনপি পন্থী বহু আইনজীবী হামলা মামলাসহ নির্যাতনের স্বিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে থেকে অন্য যে কেউ পিপি নিয়োগ পেলে বিতর্ক এড়ানো যেত। বর্তমানে যাকে পিপি নিয়োগ দেয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা চীফজুডিশিয়াল আদালতের জিআর২৫৯/১৪(কলারোয়া) উদ্ভুত টিআর-১৫১/১৫ নং মামলাসহ তিনটি পৃথক মামলায় ১৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী তিনি। তিনি আরও বলেন যদিও মামলাটি মিথ্যা ও যড়যন্ত্রমূলক। একাধিক আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আপীল মামলা মঞ্জুরত্রমে খালাস বা অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত কোন আসামী সরকারী আইন কর্মকর্তা হিসেবে সংবিধান ও ও প্রচলিত আইনে নিয়োগ পাইবার আইনগত অধিকার সংরক্ষন করেন কি না এমন প্রশ্ন রাখেন তারা। বিষয়টি সাতক্ষীরা আইনজীবীরা সরকারের যথাযথ কর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ।
এদিকে সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতের সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড.আব্দুস সাত্তার বলেন,তার বিরুদ্ধে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার যে অভিযোগ রয়েছে তা ছিল বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের কলঙ্কিত একটি ফরমায়েসি রায়। মামলা গুলি ছিল মিথ্যা সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক। যে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই মামলাটি উচ্চ আদালতে আপিল করা আছে। পিপি নিয়োগ নিয়ে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মামলা জটিলতা সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগে কোন বাঁধা হতে পারে না বলে তিনি দাবী করেন।