কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে পেটালেন ছাত্রদলের নেতা- কর্মীরা
রঘুনাথ খাঁ ঃ ছাত্রদল নেতা- কর্মী পরিচয়ে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হকসহ তিনজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরায় কালিগঞ্জ উপজেলার বাঁশতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
বাঁশতলা বাজারে মালামাল বিক্রি করনতে আসা ফতেপুরের আসাদুল গাজী, জয়পত্রকাটি গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমান, বন্দকাটির ছাদেক আলীসহ কয়েকজন জানান, শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিষ্ণুপুরের সামাদের ছেলে ফিরোজ ও মুকুন্দমধুসুধনপুরের রুহুল আমিনের ছেলে জাফর ইকবাল বাবুসহ ১২/১৪জন কয়েকটি মটর সাইকেলে বিষ্ণুপুর তেকে বাঁশতলা বাজারে আসে। প্রথমে তারা তাদের হাতে থাকা কোদালের আছাড় জাতীয় লাঠি দিয়ে নদীর ধারের ব্যবসায়ি তারিকুলকে মারপিট করে। পরে তারা নীলকণ্ঠপুরের মোস্তাফিজকে পিটিয়ে জখম করে। বাঁশতলা বাজারে নিজের চাচাত ভাই রফিকুলের ভুষির দোকানে বসি থাকা বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হকের কাছ থেকে দুটি মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় মেরে ভেঙে ফেলে ফিরোজ। পরে নুরুল হককে কোদালের আছাড় জাতীয় লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে রুহুল আমিনের ছেলে জাফর ইকবাল বাবু তাকে মারতে মারতে কান ধরে উঠবস করায়। একপর্যায়ে তাকে কান ধরে ভ্যানে তুলে দিয়ে বাড়িতে যেতে বলা হয়। এমনকি তাকে বাঁশতলা বাজারে আসতে মানা করে তারা।
এ ব্যাপারে নুরুল হক তারসহ বাজারের তিনজনের উপর মারপিটের কথা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি জীবনে কাউকে অসম্মান করেননি। অথচ তাকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা অব্যহত থাকলে এলাকায় সাধারণ মানুষ সত্য কথা বলার মত সাহস রাখবে না।
তবে ফিরোজ ও জাফর ইকবালের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ও বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রবিবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদককে জানান, নুরুল হককে মারপিট ও চরম অসম্মানের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এটা কোন মতেই কাম্য ছিল না। তার প্রতিপক্ষ গ্রæপের কতিপয় অতিউৎসাহী যুবক এ কাজ করেছে।রাতে বাড়ি ফিরে তিনি নুরুল হকের খোঁজ খবর নেবেন।# সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। তাংÑ ১৭.১১.২৪