জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম নয় ১৪ দল আমাদের মামলা দিয়েছে- বিএনপি সভাপতি ও জামায়েত আমীর

তালা প্রতিনিধিঃঃতালা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও তালা প্রেসক্লাব ও জাতীয় পার্টির তালা উপজেলার সভাপতি সাংবাদিক এস এম নজরুল ইসলাম আমাদের নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা হামলা করেনি। আমাদের মামলা হামলা করেছে ১৪ দলীয় জোট বলেছেন, তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায় ও তালা উপজেলার জামায়েতের সাবেক আমির আলহাজ্ব ডাঃ মাহামুদুল হক।গত ৬ নভেম্বর তালায় কথিত একটি গোষ্ঠির ব্যানারে তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও তালা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এস এম নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট রায় অমান্য করে তালা প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে একটি মানববন্ধনের উদৃতি দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে প্রকাশ, তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাংবাদিক এস এম নজরুল ইসলাম তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা তার দ্বারা বহু মিথ্যা মামলা হামলা হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ প্রসংঙ্গে তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃনাল কান্তি রায় বলেন, জাতীয় পার্টি তালা উপজেলা সভাপতি ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এস এম নজরুল ইসলাম ব্যক্তিগত ভাবে আমাদের কোন নেতাকর্মীর নামে মামলা হামলা করেছে এমন কথা আমার দলের কোন নেতাকর্মীরা আমাকে কখনো বলেনি। বরং আমরা মামলা হামলার স্বীকার হয়েছি ১৪ দলীয় জোটের দ্বারা। ১৪ দলীয় জোট সরকার আমাদের বিগত দিনে মামলা দিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে দোষারোপ করবো না।তালা উপজেলা জামায়াত ইসলামের সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য ডাঃ শেখ মাহামুদুল হক বলেন, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও তালা উপজেলার জাতীয় পার্টির সভাপতি সাংবাদিক এস এম নজরুল ইসলাম আমাদের নেতাকর্মীদের নামে কোন মিথ্যা মামলা দেয়নি। তিনি কখনো আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত করেনি। তার দ্বারা আমাদের দলের কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমনটা কেউ কখনো আমাকে বলেনি। এবিষয়ে তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাংবাদিক এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তালা সদরের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালে জামায়েত ও বিএনপির কোন নেতাকর্মীর নামে কোন মামলা হতে দেয়নি। তার দ্বারা কোন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বরং তিনি মারাত্নক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২০১৭ সালে তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তালা প্রেসক্লাব দখল করে নেওয়া হয়। তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রায় অর্ধ লক্ষ ভোট পেয়েছেন। প্রতিপক্ষরা তার জনপ্রিয়তা রুখতে ওই সময় ১৭ জনকে আসামী করে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির একটি মামলা ও চারজন কে আসামী করে ৮৪ হাজার টাকা ছিনতাই করার প্রহসন মূলক দুটি মামলা দেওয়া হয়। অর্ধ শতাধিক মামলার আসামী তিনি মর্মে একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোনিত উপজেলাব্যাপি রয়েছে তার সুনাম। তার সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)