ভোমরার ঋষি পরিবারের বসতভিটা রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি :সাতক্ষীরার ভোমরায় জাতীয় পার্টির নেতা ইউপি চেয়াম্যান ঈসরাইল গাজীর নির্দেশে ৫টি ঋষি পরিবারকে অবৈধভাবে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে মারপিট এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকির দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার(৩ নভেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার বইচনা গ্রামের মৃত গোবিন্দ দাসের স্ত্রী বুলু দাসী এই অভিযোগ করেন।লিখিত বক্তব্যে বুুলু দাসী বলেন, আমরা হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ। আমাদের কোন জমি জায়গা না থাকায় ২০১০ সালে বৈচনা মৌজায় এস এ ১৪২ নং খতিয়ান, বিআর এস ১/১ খতিয়ান ও খারিজ সূত্রে ১৬,১৮ নং ৮ শতক জমির রেকর্ডীয় মালিক বাবু মুচির কাছ থেকে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ক্রয় করি। এরপর থেকে দীর্ঘদিন উক্ত সম্পত্তিতে ৫টি ঋষি পরিবার শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। কিন্তু এলাকার মৃত নূরুল আমিনের ছেলে ওমর ফারুক দিং উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা চালাতে থাকে। এনিয়ে বিগত সময়ে ওমর ফারুক দিং ভূমি অফিসে অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তের নির্দেশ দেয় হয়। তদন্তের পর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (নায়েব) একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় দয়াল মুচির মৃত্যুর পর ওয়ারেশ হিসেবে তার মেয়ে বুলু দাসী উক্ত জমিতে স্বত্ববান। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিসী বৈঠক করে আমাদের পক্ষে রায় দিলেও ওমর ফারুক গং সেই রায় মানে না। তারা জাতীয় পার্টির নেতা কুখ্যাত ভূমিদস্যু ও চোরাকারবারি ভোমরার ইউপি চেয়ারম্যান ঈসরাইল গাজীর নির্দেশনায় উল্টো বিভিন্ন সময়ে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আমাদের পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে।তিনি আরো বলেন, আমরা ঋষি সম্প্রদায়ের অসহায় নিরিহ প্রকৃতির মানুষ হওয়ায় বারবার আমাদের উপর হামলা চালাচ্ছে। এরই জের ধরে গত ২ নভেম্বর ওমর ফারুক, আবু সাঈদ, জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে তাদের ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্য মৃত সুলতান মোড়লের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মানিকের ছেলে তরিকুল গংরা আমাদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ধ্বংস যজ্ঞ চালায়। বাধা দিতে গেলে আমাকেসহ অন্যান্যদের মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এসময় তারা আমাদের ৫টি পরিবারের মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়া আমাদের খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে।তিনি ভূমিদস্যু ইউপি চেয়ারম্যান ঈসরাইল গাজী এবং তার সহযোগীদের হাত থেকে বসতভিটা রক্ষা এবং নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)