রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে সংবিধানকে গুরুত্ব বিএনপি-বাম দলে
অনলাইন ডেস্ক:
কোনো দল ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানবিরোধী অবস্থান নিলে ছাড় নয়। রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। বাম দলের গুরুত্ব অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও সংবিধান দুটোতেই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চায় না সাংবিধানিক শূন্যতা। জামায়াতসহ কিছু রাজনৈতিক দল গুরুত্ব দিচ্ছে জাতীয় ঐকমত্যে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির মন্তব্যে সোচ্চার ছাত্ররা। তাঁর অপসারণ নিয়ে নানা দলের সঙ্গে চলছে ধারাবাহিক বৈঠক। এ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাংবিধানিক শূন্যতা চায় না তাঁর দল।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে। দেশে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি করা যাবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রিয়তা এখন কতটা সেই জরিপ করারও আহবান জানান রিজভী আহমেদ। প্রশ্ন তোলেন, ইউনূস সরকারের আমলে কেন দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে? সেই সংস্কার আগে করতে হবে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। বাম নেতারাও ছাত্রদের সঙ্গে একমত।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘অভ্যুত্থান কোনো আইন মেনে হয়নি। কিন্তু একটা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে আইন লাগবে। ফলে একদিকে অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে হবে, অন্যদিকে গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য এমন পদ্ধতিতে এগোতে হবে যেন আমরা ফ্যাসিবাদ থেকে গণতন্ত্রে যেতে পারি।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘মানুষের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বলছি, রাজনৈতিকসহ যেকোনো শক্তি যদি এই গণঅভ্যুথ্থানের সঙ্গে বৈবরিত্য করে আমরা তা জনগণ ও তারুণ্যের শক্তি দিয়ে রুখে দেব। কোনো ছাড় দেব না।’
আর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সংবিধান নয়, মানুষের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতেই রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলো দরকার।
এ নিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলছেন, রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে সব দল একমত হলে বিএনপিকেও তা মানা উচিত।