কালিগঞ্জের চৌমুহনী মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ

এমডি আরাফাত আলী: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার দারুল উলুম চৌমুহনী ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও শিক্ষক কর্মচারীদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তৎকালীন আওয়ামী সরকারের আমলে স্থানীয় এক নেতার মাধ্যমে জোরপূর্বক ও অবৈধভাবে ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত অধ্যক্ষ চলতি দায়িত্ব ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন‌। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী সরকার পদত্যাগের পর থেকে ছুটি না নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত রয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো আব্দুল কাদীর হেলালী বলেন, তিনি অধ্যক্ষ থাকার শর্তেও মনিরুজ্জামান তিন বছরের বেশি সময় কখনো অধ্যক্ষ চলতি দায়িত্ব আবার কখনো অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামীলীগের এক নেতার ছত্রছায়ায় তাকে মানুষিক নির্যাতন, আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত ও পুলিশ দিয়ে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করিয়ে ছিলেন। অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে ও বিভিন্ন হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলায় না জড়াতে তার বড় ছেলে ডা: হাসানের নিকট থেকে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। এছাড়া ওই সময়ে সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহারের জন্য সহকারী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মনির গ্রহণ করেছেন। সহকারী শিক্ষক শেখ হাবিবুর রহমান থেকে ৭০ হাজার, নুর ইসলামের থেকে ২১ হাজার,আসাদুল্লাহর কাছ থেকে ২১ হাজার ও ১টি ল্যাপটপ ও এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশকৃত শিক্ষককের নিয়োগ দিতে সালমা পারভীন থেকে ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন। এছাড়া সহকারী মৌলভী আব্দুস সামাদ থেকে ৭০ হাজার, আব্দুল জব্বারের থেকে ৭০ হাজার, ক্বারী মোবারক হোসেন থেকে ২০ হাজার, এবতেদায়ী মৌলভী আহছান হাবীব থেকে ২০ হাজার, পিয়ন শাকির আহম্মেদ থেকে ২৭ হাজার টাকা নিয়েছেন মনিরুজ্জামান,(যাহা উক্ত শিক্ষকগনের স্বাক্ষরিত লিখিত রয়েছে) । এছাড়া মাদ্রাসার জমির হারী বাবদ তিন বছরে মোট ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫’শ, মাদ্রাসা ভবন সংস্কারের জন্য দানকৃত ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ১৯ লক্ষ ৬১ হাজার ৪শ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। তাছাড়া ইসলামী ব্যাংক কালিগঞ্জ শাখা থেকে ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩’শ টাকা, অগ্রনী ব্যাংক মৌতলা শাখা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের টিউশন ফিসের ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬’শ টাকা উত্তোলন করেছেন,এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো মিজানুর রহমান বলেন, মনিরুজ্জামান সাহেবের কর্মকাণ্ডের জন্য শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকার মানুষ খুবই ক্ষুব্ধ। মনিরুজ্জামান কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিতের ব্যাপারে জিবির এডহক কমিটির সভাপতি সাহেবের মাধ্যমে পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এব্যাপারে মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো.মনিরুজ্জামানের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে বলেন, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে হামলার ভয়ে তিনি মাদ্রাসায় যেতে পারছেন না। টাকা আত্মসাতের বিষয় জানতে চাইলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)