আসন নয়, ভোটের হিসাবে সরকার গঠনের পক্ষে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল
অনলাইন ডেস্ক:
আসন নয়, ভোটের হিসাবে সরকার গঠনের পক্ষে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। অর্থাৎ নির্বাচনে যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে সংসদে আসন পাবে তত ভাগ। জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি এরই মধ্যে তাদের সম্মতি জানিয়েছে। তবে অন্যতম প্রধান দল বিএনপি সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন চায় না। তারা আসনভিত্তিক নির্বাচনের পক্ষেই।
বিশ্বে দুই ধরনের নির্বাচন বেশি প্রচলিত। একটি হলো আসনভিত্তিক, আরেকটি সংখ্যানুপাতিক বা পিআর। দেশে ভোট হয় ৩০০ সংসদীয় আসনে। যে প্রার্থী বেশি ভোট পান সে আসনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায় তারাই গঠন করে সরকার। এই পদ্ধতির পরিবর্তন চায় সিপিবি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন ও গণ অধিকার পরিষদ।
এ নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল হক নুর বলেন, যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায় তারাই গঠন করে সরকার। এই পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচনে এবার সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি ইন্ট্রোডিউস করতে হবে।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে ভোটাররা ভোট দেবেন দলীয় প্রতীকে, ব্যক্তিকে নয়। একটি দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সে অনুপাতে সংসদের আসন বণ্টন হবে। অর্থাৎ যদি কোনো দল ১ শতাংশ ভোট পায়, আসন পাবে তিনটি। জামায়াত, জাতীয় পার্টিও এ পদ্ধতির পক্ষে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নির্বাচনে টাকা-পয়সার দৌরাত্ম্য, আধিপত্য বিস্তার যদি বন্ধ করতে হয় তাহলে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি একটা ভালো সমাধান হতে পারে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা চাই এবার সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হোক।’
তবে আগামী সংসদ নির্বাচন আসনভিত্তিক করার পক্ষে বিএনপি। তারা জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের রূপরেখা দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আমরা যদি ঝুঁকি নেই তাহলে ফ্যাসিবাদী সরকারকে ঠেকানোর যে প্রচেষ্টা সেটি উল্টোও হয়ে যেতে পারে। এ কারণে বিএনপি সংসদীয় আসন পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ার পক্ষে।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এ নিয়ে এখনও কোনো মত দেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার।