রাশিয়ার হামলার মুখে তোরেস্ক থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোরেস্ক থেকে ‘আংশিক সেনা প্রত্যাহার’ শুরু করেছে কিয়েভ।

রোববার (১৩ অক্টোবর) রুশ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক।

এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, তোরেস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনী বেশ নাজুক অবস্থায় আছে। ফলে, শহর থেকে আংশিক সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে।

এই বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে নিউজউইক।

ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চল মস্কোর বিধ্বংসী অভিযানের শিকার হয়ে আসছে। এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর দোনেস্কের পশ্চিম অভিমুখে পুরো বছর জুড়েই রুশ বাহিনীর ধীরস্থির কিন্তু দৃঢ় অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে।

ইউক্রেনের কৌশলগত সরবরাহ ও পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরোভস্কের দখল নেয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। ফলে তোরেস্ক ও পশ্চিম আভদিভকার চারপাশে দুই পক্ষের ব্যাপক লড়াই চলছে। একই সময় চাসিভ ইয়ার শহর কুক্ষিগত করার জন্য বাখমুত এলাকায় নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করছে ক্রেমলিন।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর লুহাস্ক অঞ্চলের মুখপাত্র মেজর আনাসতাসিয়া বোবোভনিকোভা বলেছেন, প্রায় আক্ষরিক অর্থেই শহরে প্রবেশের প্রতিটি পথে লড়াই চলছে।

গত শুক্রবার ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর তোরেস্ক শহরের প্রশাসনিক প্রধান ভাসিলি চিনচিক বলেছেন, শহরের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রুশ বাহিনী দখল করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে শহর পুরোপুরি দখলের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে শত্রুপক্ষ। কিন্তু ইউক্রেনীয় সেনারা নিজেদের অবস্থান ধরে রেখে যথাযথ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।’

অবশ্য চিনচিক ও বোবোভনিকোভার বক্তব্যের মধ্যে অমিল খুঁজে পাওয়া যায়। কারণ ওইদিনই বোবোভনিকোভা বলেছিলেন, তোরেস্কের কেবল পূর্বাঞ্চল রাশিয়ার দখলে এসেছে।

মার্কিন থিংক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার দাবি করেছে, তোরেস্কের অন্তত ৩৮ শতাংশ রুশ বাহিনীর অধিকারে আছে। শহরের দখল নিয়ে মস্কো আর কিয়েভের মধ্যে ব্যাপক ‘আরবান কমব্যাট’ চলছে।

রোববার ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় তোরেস্কে অন্তত ১৫টি হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তোরেস্কের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলসহ দোনেস্কে সম্মুখভাগের একাধিক স্থানে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে তারা।

বোবোভনিকোভা বলেছেন, আর্টিলারি (কামান) দিয়ে শহরটি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা করছে শত্রুপক্ষ। পুরো যুদ্ধ জুড়েই দোনেস্কের বিভিন্ন এলাকায় একই কৌশল ব্যবহার করে আসছে ক্রেমলিন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)