মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করায় সংবাদ কর্মীদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্ট
নিজস্ব প্রতিনিধি:
কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের চিহ্নিত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। প্রকাশিত সংবাদের জেরে মাদক সিন্ডিকেট সংবাদকর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি দৈনিক সাতনদী পত্রিকা সহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে কালিগঞ্জ উপজেলা রতনপুর ইউনিয়নের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গত ২৭ আগস্ট “গরু চুরি থেকে উত্থান এলাই ফারুক ও আশরাফ এখন মাদকসম্রাট” শিরোনামে, গত ৮ অক্টোবর “মাদক ব্যবসায়ী পরিবারের কাছে অসহায় রতনপুরের মহেশকুড়” শিরোনামে এবং গত ১১ অক্টোবর “বিআরটিসি গাড়িতে নিয়মিত ফেন্সিডিল পরিবহনের অভিযোগ ফরজ ’র বিরুদ্ধে” শিরোনামে সিরিজ আকারে তথ্যভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতেই গাত্রদাহ শুরু হয়েছে মাদক সিন্ডিকেটটির।
তারা বিভিন্নভাবে সংবাদ কর্মীকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তাছাড়া সংবাদকর্মীকে বিভিন্ন হুমকিও প্রদান করে মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটটি। যার বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। মাদক সিন্ডিকেটটি সংবাদ কর্মীদের কোনভাবেই নির্বৃত্ত করতে না পেরে, অবশেষে ফেসবুকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কুৎসা রটানোর চেষ্টায় অব্যাহত আছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র মতে ও ফেসবুক থেকে দেখা যায়, , MD Sobuj Khan নামক ফেসবুক আইডি হতে সাতজন ফেসবুক বন্ধুকে ট্যাগ করে সংবাদকর্মী শেখ ফিরোজ আহম্মেদের ছবি ও নাম দিয়ে এবং ফেরদাউস আহমেদের নাম দিয়ে, “চাঁদাবাজদের হুমকির মুখে বিআরটিসি ” শিরোনাম করে, প্রতিমাসে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দেয়া লাগবে মর্মে কয়েক লাইন লেখা সম্পর্কিত একটি পোস্ট করা হয়েছে।
পোস্টটিতে বিভিন্ন জন সংবাদকর্মীদের রোসানলে ফেলানোর হুমকিমূলক কিছু কমেন্ট লক্ষ্য করা যায়। কমেন্ট বক্সে GM Liakat Hossen নামের একজন “ওদেরকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে এছাড়াও পোস্টটিতে ২৫ টিরও অধিক মন্তব্য লক্ষ্য করা যায় । কমেন্ট বক্সে Sk Abu Azim নামের ব্যক্তি তার দুইটি ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে সর্বাধিক উস্কানিমূলক কমেন্ট করতে দেখা যায়।
অপর একটি পোস্টে, Faruk Hossen নামের ফেসবুক আইডি হতে ৪৩ জন ফেসবুক বন্ধুকে ট্যাগ করে সংবাদ কর্মী শেখ ফিরোজ আহমেদ ও শেখ ফেরদাউস আহমেদের ছবি দিয়ে,”চাঁদাবাজদের হুমকির মুখে বিআরটিসি পরিবহন” শিরোনাম করে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে পোস্ট করতে দেখা যায়।
অন্যদিকে, পোস্টটিতে অনেকেই পোস্টকারীদের বিরোধিতা মূলক মন্তব্য করেছন। কমেন্ট বক্সে লক্ষ্য করা যায়, Gazi Aminur Rahman মন্তব্য করেন,”কারা চাঁদাবাজি করছে আগষ্ট মাসের ৫ তারিখের পর থেকে আজ পর্যন্ত এটা রতনপুর বাসি জানে।” এছাড়া Maruf Rahman মন্তব্য করেন, “ভুয়া কথা কই পাও”। Jahangir Kobir নামের একজন মন্তব্য করেন,”চাঁদাবাজ বললেই তো আর চাঁদাবাজ হয় না। চাঁদাবাজের প্রমাণ কি আছে? শুধু শুধু মানুষকে হয়রানি করে লাভ নেই। তদন্ত করে তারপর না হয় পদক্ষেপ নেয়া উচিত। শুধু শুধু গণধোলাই এর কথা বলে মানুষের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা আমি মনে করি দন্ডনীয় অপরাধ।”
তথ্য যাচাই করে দেখা যায় পোস্টকারী দুজনেই সহোদর ভাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক সাতনদী পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,”ফরোজ আলী সবুজ ও তার পরিবারের সদস্যরা রতনপুরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ। সকল তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই মামলা নম্বর সহ তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়েও আমাদের সংবাদ প্রকাশে নির্বৃত্ত করতে পারে নাই। এখন তারা ফেসবুকে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে, তার সিন্ডিকেটের সদস্যদের দ্বারা আমাদের বিপদে ফেলানোর পায়তারা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”