এড. আব্দুর রহমান কলেজের শিক্ষকদের কক্ষে আটক রেখে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ
Post Views:
২০১
নিজস্ব প্রতিনিধি:শিক্ষকদের কক্ষের মধ্যে আটক রেখে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এড. আব্দুর রহমান কলেজের সংরক্ষিত তহবিলের অর্থ আত্মসাত মামলায় অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সোমবার বিনেরপোতাস্থ এড. আব্দুর রহমান কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষকবৃন্দ।কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর কলেজ অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে একটি এডহক কমিটির অনুমোদন করান দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান। ওই কমিটির সভাপতি হওয়া সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে কলেজের সংরক্ষিত তহবিলের অর্থ আত্মসাথের মামলা রয়েছে। উক্ত মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশীটও প্রদান করে। যার মামলা নং ২৭৯/২০২১।কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি নজরে আসলে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ ওই জাল জালিয়াতির কমিটির বিরুদ্ধে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজুল ইসলাম এবং বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ওমর ফারুক, জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুর রউফ বাবু ওরফে দুধ বাবুসহ তাদের সহযোগিরা অধ্যক্ষকে হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে।এক পর্যায়ে ৭ অক্টোবর সোমবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজুল ইসলাম, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি, জালিয়াতি চক্রের হোতা আখতারুজ্জামানের ২০ থেকে ২৫ জন পেটুয়া বাহিনী কলেজে প্রবেশ করে। সে সময় তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষকদের একটি কক্ষের মধ্যে আটকে রাখে। এসময় তারা কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন। এতে শিক্ষক-কর্মচারীরা হট্টগোল শুরু করলে কলেজে চরম ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাস।উপায়ন্তর হয়ে সিরাজুলের কথা মত তার দেওয়া একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন কয়েকজন শিক্ষক। স্বাক্ষর নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করে তারা। এঘটনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মুজিদ বলেন, জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ করে দেওয়ায় সিরাজুল, কথিত গণঅধিকার পরিষদের নেতা ওমর ফারুক, জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুর রউফ বাবু প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন। এতে পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীতনায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল কাদের, মিজানুর রহমান, মহিদুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, সোমবার দুপুরে আকর্স্মিকভাবে ২০ থেকে ২৫ জন লোক নিয়ে তারা কলেজে এসে আমাদের একটি কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এধরনের কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে ন্যায় বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সাক্ষাতে কথা বলার প্রস্তাব দেন। তবে পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।